গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের ৩'শ অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা 'গণ উন্নয়ন কেন্দ্র' (জিইউকে) বাস্তবায়িত এবং দাতা সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের সহযোগিতায় পরিচালিত 'ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফর কোল্ড ওয়েভ অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিস ইন নর্দান রিজিয়ন বাংলাদেশ' প্রকল্পের আওতায় গত ৮ ও ৯ জানুয়ারি এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. খোকন রানা, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাকিম শেখ, জিইউকের প্রধান কার্যালয়ের কোঅর্ডিনেটর কিশোর কুমার সরকার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার কৃষিবিদ মো. মনির হোসেন, ফ্লাড রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম, প্রজেক্ট অফিসার মোছা. ডলি সুলতানা, বন্যা সহনশীল প্রকল্পের কর্মীবৃন্দ, ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শীতবস্ত্র কম্বল পেয়ে সালমা বেওয়া নামের এক বিধবা নারী বলেন, এত ঠান্ডায় কম্বল নাই না থাকায় খুব কষ্ট আছিল। আইজকা এই কম্বল পায়য়া কিছুটা হলেও শান্তি পাইনো। যামরা কম্বল দিলে তামার ভালো হউক।
আব্দুল আহাদ নামের আরেকজন বলেন, এই ঠাণ্ডাত কম্বলটা পায়া খুব ভালো হইলো। খুব কষ্টোত আছনো।
সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জিইউকের ফ্লাড রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি, যা আমাদের জন্য আনন্দের। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রয়াস শীতের কষ্ট লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কেকে/এইচএস