মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল এগারোটায় গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিডিআর কল্যাণ পরিষদ মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই মানববন্ধনে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় কারাবন্দি, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের লোকজন এবং অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা সরকারের প্রতি ৩ দফা দাবি তুলে ধরে এ ঘটনার নেপথ্য থেকে যারা ছিলেন তাদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করার দাবি জানান। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত নয় এমন নিরপরাধ বিডিআর সদস্যের মুক্তির দাবি করেন তারা। পিলখানার ঘটনাকে একটি রাজনৈতিক দলের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে চাকরিচ্যুত সকল সদস্যকে বর্তমানে বিজিবিতে পুনর্বহালের দাবিও জানানো হয়।
অবসরপ্রাপ্ত বিডিয়ার সদস্য আবদুল ওহাব বলেন, 'আমি বিডিআর-এ কাজ করেছি, আমি চেয়েছিলাম আমার ছেলেও দেশের জন্য কাজ করুক। আমার ছেলে হাবিব বিডিআর-এ বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিল। কোন অপরাধ না করার পরও প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে আজ ১৬ বছর তাকে জেলে বন্দি করে করে রাখা হয়েছে। আমি তার মুক্তি চাই'।
কারাবন্দি বিডিআর সদস্যের ছেলে সোহেল বলেন, 'আজ ১৬ বছর আমার বাবা জেলে। আমি আমার বাবার আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত। অনাথের মত আমরা বড় হচ্ছি। আগের সরকারের কাছ থেকে আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। বর্তমান সরকারের প্রতি আমাদের বিনীত আবেদন আপনারা ন্যায় বিচার করুন। নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি দিন'।
রাবেয়া বেগম নামে এক নারী বলেন, 'আমার ভাইয়ের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় ১০ বছর আগে কিন্তু সে এখনো বের হতে পারেনি। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তাকে কারাগারে আটকে রাখা অমানবিক'।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
কেকে/এআর