এক শব্দে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যার কাছে যেমন। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এক শব্দে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুভূতি প্রকাশের এমনই এক অভিনব সেগমেন্টের আয়োজন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন।

আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একশব্দে আমার কাছে...' শিরোনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পাশে একটি এক্সপ্রেশন বোর্ড স্থাপন করা হয়। সকলের জন্য উন্মুক্ত এ এক্সপ্রেশন বোর্ডে সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নিজেদের অনুভূতিকে একশব্দে লিখে প্রকাশ করতে দেখা যায়। বোর্ডটিতে লিখিত শব্দের পাশে তাদের ব্যাচ নম্বরও লেখেন সবাই।

এসময় উক্ত এক্সপ্রেশন বোর্ডে এক শব্দে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনুভূতি লিখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, শিক্ষকবৃন্দ সহ সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সবাইকে বেশ আগ্রহ সহকারে লিখতে দেখা যায় সেখানে।

এক্সপ্রেশন বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালকে 'মর্ম' লিখে অভিহিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান লিখেছেন 'রেনেসাঁ', উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ লিখেছেন 'অনন্য', কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রব লিখেছেন, 'প্রকৃতি', প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম লিখেছেন,  'আঁতুড়ঘর'। এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ লিখেছেন, প্রজাপতি, আবেগ, বিপ্লবী, দ্রোহ, পরিবর্তন, পুনর্জন্ম, আত্মপ্রকাশ, শান্তি ইত্যাদি। এসময় নিজের লেখা শব্দের পাশে তাদের ব্যাচ নম্বরও উল্লেখ করেন সবাই।

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এক প্রকার সাবেক বর্তমানদের মিলন মেলা। আর এ বিষয়কে মাথায় রেখেই ব্যাতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহণ। এক্সপ্রেশন বোর্ডে আমি নিজেও লিখেছি। সেখানে আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে 'রেনেসাঁ' বলে আখ্যায়িত করেছি। মূলত ২৪ এর অভ্যুত্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রে সংজ্ঞায়িত করতেই এই শব্দটি ব্যবহার করেছি আমি।'

৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী নোমান বিন হারুন বলেন, 'এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ টা আমার কাছে বেশ চমকপ্রদ লেগেছে। একশব্দে অনুভূতি ব্যক্ত করাটা বেশ কঠিন। তবুও চেষ্টা করেছি লেখার। সকলে বেশ আগ্রহ সহকারে লিখছে যেটা দেখতেও বেশ ভালো লাগছে।'

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে কেন্দ্র করে সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কেকে/এআর