জুলাইয়ের ছাত্র জনতার বিপ্লব স্মরণে জুলাই ও ৩৬ চত্তর নামে দুটি চত্বরে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে তরুণদের মাঝে। এদিকে ১২ তম দিনে বিক্রি বেড়েছে গৃহস্থালি পন্যের। দাম নিয়ে অভিযোগ থাকলেও হরেক পন্য একই ছাঁদের তলায় পেয়ে খুশি ক্রেতা সাধারণ।
২৯তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১২ তম দিন ঘুরে দেখা যায়, দেশীয় পন্যের ৩৬১ টি স্টলেট মাঝে অন্যান্য দেশের আরও আটটি স্টলে ৩০০ এর বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে।
মেলার পরিচালক ইপিবি সচীব বিবেক সরকার বলেন, আগামী ২০২৭ নাগাদ মেলা পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মানের করতে সরকার কাজ করছে। সে সময় এখন নানা ধরনের অভিযোগ থাকলেও তা থাকবে না। তিনি আরও বলেন, ৩৬শে জুলাই ছাত্র জনতার যে বিপ্লব তা ধরে রাখতেই এবারের বাণিজ্য মেলায় রাখা হয়েছে জুলাই ও ৩৬ নামে দুটি চত্বর। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে মসনদ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
কথা হয় মধুখালী এলাকার বাসিন্দা গৃহীনি তাহছিনা আক্তার নিশাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবারের প্রথম দিনই শুরু হয়েছে ২৯তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও ৮ দেশের বহু প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। একই ছাঁদের তলে সব রকম পন্য পাওয়া যায়, তাই দাম নিয়ে অভিযোগ থাকলেও নুন্যতম পন্য দেখে পছন্দ হলে কিনতে পারছি, এটাই আমাদের তৃপ্তি। তাছাড়া মেলার স্থায়ী ভবনটা মনোমুগ্ধকর ও দৃষ্টিনন্দন।
পিতলগঞ্জ থেকে আসা অপর নারী ক্রেতা আছমা আক্তার রুপা বলেন, মেলায় বিদেশী সব গৃহস্থালি পন্যের দাম বেশি। যদিও মানে ভালো। তবে দাম বেশি চাওয়ায় দেশীয় কিছু পন্যই কিনেছি। মুড়াপাড়া এলাকা থেকে মেলায় ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী মিতু মেহজাবিন বলেন, পুরো মেলা জুরে নতুন নতুন সব পন্য পাওয়া যায়। এসব পন্যের মাঝে সবার মতো আমিও কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করলাম। দাম যাচাই করার সময় হয়নি।
মেলা সূত্রে জানা যায়, ১ জানুয়ারি থেকে সাধারণ দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিন ১০টা পর্যন্ত মেলা চলে। মেলাতে বড়দের টিকেট মূল্য ৫০ ও ছোটদের ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের বাণিজ্য মেলায় অনলাইন টিকেটিং সহ বেশকিছু নতুন বিষয় দেখা গেছে। আগামীতে মেলা থেকে অনলাইনে কেনার ব্যবস্থা থাকবে। বিগত সময়ে বাণিজ্য মেলা নিয়ে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে তা আর হবে না বলে আশ্বস্ত করেন মেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা
মেলায় দায়িত্বরত ম্যাজিস্টেট ও রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, মেলায় ‘আমরা নিরাপত্তার বিষয়টিকে খুব অগ্রাধিকার দিয়েছি। গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপত্তাকর্মী ও সংস্থাকে আমরা এখানে ইনভলভ করেছেন মেলা কর্তৃপক্ষ। তারা দিনরাত কাজ করছে। আমরাও ধারাবাহিকভাবে ১৭ জন ম্যাজিস্টেট এখানে নিয়োজিত রয়েছি।
বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিনের ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক ও লোকাল ইন্ডাস্ট্রিকে কম্বাইন্ড করে ঢাকাবাসীর যে নাগরিক চাহিদা এর একটা সম্মিলিত প্রদর্শন করতে বাণিজ্যমেলাকে সাজানোর লক্ষ্যে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন মেলা সংশ্লিষ্টরা। মেলা দেশি ও বিদেশি কোম্পানির মাঝে একসাথে বাণিজ্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের সুবিধা বৃদ্ধির কাজও করবেন তারা।
কেকে/এআর