ঘরের মাঠে খুলনা টাইটানসকে ৮ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্স। রনি তালুকদার ও জাকির হাসানের শতরানের জুটিতে ভর করে ১৮২ রান তুলে স্বাগতিকরা। জবাবে ১৭৪ রানেই থামে খুলনার ইনিংস। আর তাতেই ৮ রানের জয় পায় সিলেট।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করে স্বাগতিকরা।
১৮৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলেন খুলনার দুই ওপেনার উইলিয়াম বোসিস্টো ও মোহাম্মদ নাঈম। কিন্তু চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই নাঈমকে বোল্ড করেন নাহিদুল ইসলাম। দলীয় ১৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় খুলনা।
এ দিন ক্রিজে থিতু হতে পারেননি ইমরুল কায়েস। ৩ বলে ২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই তানজিম হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে পয়েন্টে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েন ইমরুল।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে রাসুলিকে নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করেন উইলিয়াম বোসিস্টো। কিন্তু দারউইস রাসুলিকে থামান রিস টপলি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ১৫ রান।
উইকেটে এসে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও সুবিধা করতে পারেননি। ১৪ বল খেলে ১৫ রান করেই আউট হন তিনি। ওপেনার উইলিয়াম বোসিস্টো অবশ্য এক প্রান্ত আগলে রেখে এগোচ্ছিলেন, তবে রিস টপলি তাকে থামিয়ে দেন। ৪০ বলে ৪৩ রান করে অ্যারন জোন্সের ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।
শেষদিকে চেষ্টা করেছেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। তবে তিনিও পারেননি, ১৮ বলে ৩৩ রান করে তানজিম সাকিবের বলে গালিতে জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৫ বলে ৪ রান করা জিয়াউর রহমান কাটা পড়েন রানআউটে।
শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আবু হায়দার রনি। শেষ ওভারে ১৬ বলে ২৮ রান করে রানআউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অঙ্কন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে খুলনা টাইগার্সের ইনিংস থামে ১৭৪ রানে।
সিলেটের হয়ে তানজিম সাকিব, রিস টপলি ও রুয়েল মিয়া নেন দুটি করে উইকেট।
এ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে সিলেট। আবারও ব্যর্থ হন রাহকিম কর্নওয়াল। ৫ বলে একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আবু হায়দার রনির শিকার হন তিনি। জর্জ মুনসেও ৭ বলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি। দুজনই হন বোল্ড। তবে শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে রনি তালুকদার আর জাকির হাসানের শতরানের জুটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করে স্বাগতিকরা। ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন জাকির। টানা দ্বিতীয় আর চার ম্যাচে এটি তার তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি।
রনি ফিফটি হাঁকান ৩৯ বলে। তৃতীয় উইকেটে এই দুজন ৬২ বলে গড়েন ১০৬ রানের বড় জুটি। শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙেন আবু হায়দার রনি। বড় শট খেলতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন রনি তালুকদার। ৪৪ বলে ৫৬ রানে থামতে হয় তাকে।
এরপর ৬ বলে ৩ ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও উপহার দিয়ে যান অ্যারন জোন্স। জিয়াউর রহমানের বলে শূন্যে লাফিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক মাহিদুল অঙ্কন। জিয়া তার পরের বলেই জাকের আলীকে (০) ফেরান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বল ব্যাটে লেগে গড়িয়ে গিয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে।
তবে জাকির হাসান ঝড় তুলে গেছেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ৪৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ৩টি চার, ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। আরিফুল ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ২১ রানে।
খুলনার দুই পেসার জিয়াউর রহমান আর আবু হায়দার রনি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
কেকে/এআর