ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী, কাশ্মিরি, নারকেলী, আপেল কুলসহ নানা জাতের কুলের চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে বল সুন্দরী ও ভারত সুন্দরী কুল চাষ কৃষকদের মধ্যে আলাদা জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এবার সালথা উপজেলায় প্রায় ৩০ একর জমিতে ৫০ জন কৃষক কুল চাষ করেছেন। বাগানের ছোট ছোট গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা মিষ্টি ও রসালো বল সুন্দরী এবং ভারত সুন্দরী কুল দেখে দৃষ্টি আটকে যায়। চাষিরা নিয়মিত জমি থেকে কুল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছেন।
উপজেলার কুল চাষি এনামুল হোসেন ও কাসেম খান জানান, তারা বল সুন্দরী ও ভারত সুন্দরী জাতের কুলের চারা রোপণ করেছেন। রোপণের মাত্র আট মাসের মধ্যে ভালো ফলন হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে কুল সংগ্রহ শুরু হয়েছে এবং জানুয়ারির পুরো মাস ধরে তা চলবে।
প্রতিটি গাছ থেকে ৩০ থেকে ৪০ কেজি কুল সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। বাজারে কুলের দাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। ফলে অল্প সময়ে কুল চাষে কৃষকরা ভালো আয় করছেন। এই চাষের মাধ্যমে অনেক কৃষকের জীবনমান পরিবর্তন হয়েছে।
সালথা উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, কুল চাষে খরচ কম হওয়ায় এ অঞ্চলে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এ বছর প্রায় ৩০ একর জমিতে কুল চাষ করা হয়েছে, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করতে পারেন।
সালথা উপজেলায় কুল চাষ কৃষকদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করেছে। বল সুন্দরী ও ভারত সুন্দরী কুলের চাষ বাড়ানোর মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের আর্থিক উন্নয়ন ঘটছে। সরকারের সহায়তা ও কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ ধরনের উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হতে পারে।
কেকে/এএম