পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ সরিষার মাঠ এখন হলুদের ঢেউয়ে পরিপূর্ণ। এ মাঠে মৌমাছি পালনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ ও সরিষার ফলন বৃদ্ধির সমন্বিত চাষ পদ্ধতি কৃষক ও মৌচাষিদের জন্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।
মাজপাড়া ইউনিয়নের কাকমারি বাঁধপাড়া গ্রামের সরিষার খেতে ৩০০টি মৌবাক্স স্থাপন করেছেন মৌচাষি আব্দুল রাজ্জাক। নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমসিলাম গ্রাম থেকে তিনি সরিষা খেতে মধু সংগ্রহের জন্য মৌবাক্স স্থাপন করেছেন। প্রায় ১০-১২ বছর ধরে এ পদ্ধতিতে কাজ করছেন তিনি।
রাজ্জাক জানান, প্রতিটি মৌবাক্স থেকে প্রতিবার ৪-৬ কেজি মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। এ মৌসুমে তিনি এখন পর্যন্ত ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করেছেন এবং আরও দুই সপ্তাহ সংগ্রহ চলবে। সরিষা খেতের পর ফুল কমে গেলে তিনি নতুন মাঠে চলে যাবেন।
এবার মধুর দাম ভালো থাকায় তিনি আশা করছেন, ২৫০-৩০০টি বাক্স থেকে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা মধু বিক্রি করতে পারবেন। মৌসুমের সময় খামারে ৬-৭ জন শ্রমিক কাজ করেন। তবে সব খরচ বাদ দিয়ে তার নিট আয় হবে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি অফিসার সজীব আল মারুফ জানান, মৌমাছি সরিষার ফুলে পরাগায়নে সহায়তা করে, যার ফলে সরিষার ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। একদিকে সরিষার ভালো ফলন হচ্ছে, অন্যদিকে মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। এই সমন্বিত চাষ পদ্ধতি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
কেকে/এএম