টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্করের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় এলাকাবাসী।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, ধনবাড়ী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা মাসুদ, মাসুদ রানা, হাবিবুর রহমান হব, ব্যবসায়ী আয়নাল হোসেন, হাবিব হোসেন, নুরজাহান বেগম, সোমা আক্তার সহ অন্যান্যরা।
মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বক্তারা জানান, দীর্ঘদিন যাবত এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগীরা পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা ও ওষুধ পত্র পাচ্ছে না। সেই সাথে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়ীর এম্বুল্যাসের চালক দিয়ে তার ব্যাক্তিগত গাড়ী চালায়। সে কারণে ধনবাড়ী বাসী এ্যাম্বুল্যাসের সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। শুধু তাই নয় সে বিগত সময়ে বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে অর্থ লেনদেন কারণে স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে শাস্তিমূলক বদলী করেন ধনবাড়ীতে। এনিয়ে বিভিন্ন ইলেকটনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে সংবাদ প্রচার হয়েছিলো। সে ধনবাড়ীতে যোগদানের পরেই তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত না করার অপরাধে হাসপাতাল মসজিদের ইমাম কে চাকুরি চ্যুত করেছিলো। তবে যোগদানের পর থেকেই অদৃশ্য কোন শক্তির দ্বারা সে সকল কাজে অনিয়ম করে যাচ্ছেন যেন দেখার কেউ নেই। এবং কী তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাচিব নামের আওয়ামী সংগঠণের সাথে যুক্ত ছিলেন। আর যত টেন্ডার কাজ আওয়ামী লীগ আমলে গোপালপুরের লিয়াকত আলী নামের ব্যাক্তিই পেত এখনো তাকেই সকল কাজ দিচ্ছে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্কর। এ ছাড়াও প্যাথোলজি বিভাগ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় রোগীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারছে না।
অন্যদিকে, টাকার বিনিময়ে আউটসোর্সিং পদে তার ইচ্ছেমতো লোক নিয়োগসহ নানা অভিযোগ জানান তারা। ভূক্তভোগী প্রমীলা তিনি জানান, তিনি আউট সোসিংয়ে চাকরি করতেন। তাকে বিনা অপরাধে তাকে চাকুরিচ্যুত করেছে ডা: ফাহমিদা লস্কর।
তাই মানবন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী সহ সেবা নিতে আসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেই তার অনিয়ম ও দুর্নীতির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন বর্তমান সরকারের কাছে।
এব্যাপারে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্করের কাছে জানতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার রুম বন্ধ পাওয়া গেলে অফিসের অন্যরা জানায় সে আজ আসেনি।
কেকে/এআর