জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির অনশনে হ্যান্ড মাইক দিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গন অনশন আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের একজন কর্মীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ছাত্রদলকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আরিফুজ্জামান টিংকু। তিনি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা ও যুগ্ন আহ্বায়ক সুমন সর্দারের অনুসারী।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত ১০ টায় বার জন অনশনরত শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার প্রেক্ষিতে সকল দাবিসমূহ মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীরাও দাবি মেনে নেওয়ার প্রেক্ষিতে আন্দোলন সমাপ্তি ঘোষণার প্রক্রিয়াতে ছিল। ঠিক এ সময়ে শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর নাম পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি আরিফুজ্জামান। আমি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার রাজনীতি করি।
জানা যায়, রোববার রাত ১০ টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রায় ১২ জন অসুস্থ হয়ে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে দাবি বাস্তবায়নের রোড ম্যাপ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পরবর্তীতে হঠাৎই হ্যান্ড মাইক দিয়ে আরিফুজ্জামান নামে একজন শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়া ঘোষণা করেন, আপনারা যারা অনশন করতে চান, সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেন। যতক্ষণ দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ আমরা এবার অনশন চালিয়ে যাবো। ’
পরে সারাদিন অনশনকারীরা তাঁর পরিচয় জানতে চান। এ সময় বাংলা বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী সাগর ও আশরাফুল পরিচয় জানতে চাওয়াতে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ২নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৌফিব মাহমুদ সোহানের উপর হামলা করেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন।
তবে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার বলেন, আমরা তাকে চিনি না।
কোন কারণে কেন তিনি এমন ঘোষণা দিয়েছেন জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী আরিফুজ্জামান টিংকু বলেন, আমাকে কয়েকজন এই ঘোষণা দিতে বলেছে। তাই আমি এই ঘোষণা দিয়েছি।
এবিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ছাত্রদল সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকারের সাথে আছে। তবে বিশৃঙ্খলাকারীদের দলে ঠাই নাই। কেউ কোন প্রকার উস্কানি ও বিশৃঙ্খলা করে তার ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দীন নাসিরকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, এত অসুস্থ হওয়া ও দাবি মেনে নেওয়ার পর তিনি কেন এখানে আসলেন, সবই সন্দেহজনক। তার বিরুদ্ধে তদন্ত পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এআর