সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫,
১৪ মাঘ ১৪৩১
বাংলা English

সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: রেলের স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান সরকারের      মাঝরাত থেকে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ট্রেন চলাচল      ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদির চিঠি      গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বহাল রাখতে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ      আমরা আনুপাতিক হারে নির্বাচন চাই: জামায়াত সেক্রেটারি      পুতুলের দুর্নীতি মামলার তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এখনো আসেনি: মুখপাত্র      ক্ষমতা আর সংসদের আসনের লোভ দেখিয়ে তরুণদের কেনা যাবে না: হাসনাত       
গ্রামবাংলা
ভাঙ্গায় পেঁয়াজে চাষে কৃষকের স্বপ্নের হাতছানি
মোঃ সরোয়ার হোসেন, ভাঙ্গা( ফরিদপুর)
প্রকাশ: সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:২৭ পিএম আপডেট: ১৩.০১.২০২৫ ৩:৩২ পিএম  (ভিজিটর : ১৭৯)
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

ফরিদপুরের  ভাঙ্গায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা বিভিন্ন প্রকার পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে মুড়িকাটা, হালি পেঁয়াজ বেশ জনপ্রিয়। পেঁয়াজ বীজ থেকে উৎপাদিত চারায় এখন মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পেঁয়াজের আবাদ। এর মধ্যে তাহেরপুরী জাতের পেঁয়াজের আবাদ করে লাভবান হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।  

পেঁয়াজের উৎপাদন ভান্ডার খ্যাত ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কৃষকরা এখন বীজতলা থেকে চারা তুলে রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে।মাঠে মাঠে সবুজ পেঁয়াজের চারা কৃষকরা রোপন করছে আর দুলছে  কৃষকের স্বপ্ন। চলতি মৌসুমে বিএডিসি থেকে আনা পেঁয়াজ বীজ রোপন করে যথেষ্ট সফলতা পেয়েছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মোট ২ হাজার ৯ শত ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৭ শত ৩৩ হেক্টর জমিতে রোপন সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এর মধ্যে মুড়িকাটা ৫১৮ হেক্টর, হালি পেঁয়াজ ১ হাজার ৭ শত ৪০ হেক্টর জমিতে রোপন করেছেন। সূত্রে আরও জানা গেছে, এ মৌসুমে উপজেলায় প্রনোদনার আওতায় তাহেরপুরী, বারি-৪, বারি-৬ জাতের ১৬০ জন কৃষকের মাঝে ১ কেজী করে বীজ সরবরাহ করা হয়।কিন্ত বেশ কিছু বীজ অংকুরিত না হওয়ার অভিযোগ উঠে। পরে কৃষকদের যথাক্রমে  ৫'শ গ্রাম, ১ কেজী করে লাল তীর, বারি-৬ ও হেরপুরী জাতের বীজ এ বীজ কৃষকরা বীজতলা দিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে। কোন কোন কৃষকের বীজতলায় বীজ আশানুরূপ অঙ্কুরিত হয়নি এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুনরায় কৃষকদের অর্ধকেজী করে বীজ দেওয়া হয়।

তবে সরেজমিন মাঠ পরিদর্শন করে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। উপজেলার আলগী, বড়দিয়া, সুয়াদী, ঘারুয়া, পাইকদিয়া, দীঘলকান্দা, তুজারপুর, সরইবাড়ী, চৌকিঘাটা গ্রাম সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মাঠ পরিদর্শন করে দেখা যায় মাঠে মাঠে বীজতলা। সারি ধরে কৃষকরা চারা তুলছে। কেউ বাজারে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।কেউ কেউ জমি তৈরি করে চারা রোপন করছেন। কৃষকদের মাঝে তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএডিসির তাহেরপুরী জাতের বীজ নিয়ে তারা যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন।বীজ প্রায় ৭৫ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত বীজ অংকুরিত হয়েছে। বীজতলা থেকে চারা বিক্রি করে তারা লাভবান। সেই সাথে চারা রোপণ করে উৎপাদিত পেঁয়াজ ইতিমধ্যেই কৃষকেরা মাঠ থেকে তুলতে শুরু করছেন। উপজেলার চৌকিঘাটা গ্রামের সিরাজ শেখ জানান,তিনি এ বছর বিএডিসি এবং স্থানীয় কৃষকদের নিকট থেকে তাহেরপুরী, বারি-৬ জাতের বীজ সংগ্রহ করে বীজতলা দিয়েছিলাম। চারা সন্তোষজনক অংকুরিত এবং মানসম্মত হওয়ায় চারা বাজারে বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয় করেছি।

একই গ্রামের পেঁয়াজ চাষী মোঃ শাহ আলম জানান, তিনি প্রনোদনা ও বিএডিসি থেকে তাহেরপুরী জাতের বীজ সংগ্রহ করেছেন। তার অংকুরিত বীজের পরিমান ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বলে জানান তিনি। বীজতলা থেকে চারা তুলে ক্ষেতে রোপন করেছেন। মাঠ থেকে পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে।তিনি সাফল্যে বেশ খুশি।  

উপজেলার সাউতিকান্দা গ্রামের কৃষক রাজা মিয়া জানান,তিনি চলতি মৌসুমে ১ বিঘা জমিতে বীজতলা দিয়েছিলাম। এর মধ্যে বেশীরভাগ  তাহেরপুরী জাতের। বীজতলা দিয়ে চারা বাজারে বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয় করেছি।সেই সাথে ক্ষেতে রোপন করেছি। পেঁয়াজ বীজ ভালো পাওয়ায় পেঁয়াজের মান এবং উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছি। ফরিদপুর জেলা থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। পেঁয়াজের উৎপাদন ভান্ডার খ্যাত ভাঙ্গা সহ পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে প্রচুর পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে।  

চলতি মৌসুমে ভাঙ্গা উপজেলায় পুনরায় কৃষকদের বীজ দেওয়া হয়েছে। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোল্লা আল মামুন বলেন, সরকারী প্রনোদনার আওতায় বিএডিসি (বীজ বিপণন) এর মাধ্যমে প্রায় ১৬০ জন কৃষকের মাঝে ১ কেজী করে  পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে।মাঠ পর্যায়ে অনেকে কিছু অভিযোগ করেছেন।এর মধ্যে তাহেরপুরী, বারি-৬ লালতীরের বীজ বেশী ছিল। পরে তাদেরকে পুনরায় ৫'শ গ্রাম করে বীজ দেওয়া হয়েছে। মাঠে কৃষকদের তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। মাঠে মাঠে এখন পেঁয়াজ। কৃষকরাও বেজায় খুশি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আশা করি কৃষকরা পেঁয়াজ চাষের মাধ্যমে ভাগ্যের পরিবর্তন হবে

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

বাণিজ্য মেলার মেয়াদ বৃদ্ধির দাবী ব্যবসায়ীদের
হ্যাটট্রিক জয়ে প্লে অফের কাছাকাছি রাজশাহী
মহসিন উদ্দিন দুদু মিয়া
রেলের স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান সরকারের
পঞ্চগড়ে আলোয়াখোয়া ইউনিয়নকে হারিয়ে জয় বলরামপুরের

সর্বাধিক পঠিত

সীমান্তে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিল বিএসএফ
কাউনিয়ায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টায় শশুর আটক
হারিয়ে যাচ্ছে ভগবান চন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য
শাবিপ্রবির কুমিল্লা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে তৌহিদ-সাগর
মাঝরাত থেকে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ট্রেন চলাচল

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝