বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারাহ আলী খান, যিনি রূপ ও অভিনয় দক্ষতায় দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন, একসময় ওজন নিয়ে কঠিন লড়াই করেছেন। কলেজে পড়ার সময় তার ওজন ছিল ৯৬ কেজি। ওজন ও পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের সমস্যার কারণে তিনি নিজেকে কখনো বলিউডে নায়িকা হওয়ার উপযুক্ত ভাবতেই পারতেন না।
শৈশব এবং কলেজ জীবনে মোটা হওয়ার কারণে সারাহকে বন্ধুমহলে মোটা, মুটকি, হাতি—এমন অপমানজনক কথা সহ্য করতে হয়েছে। তবে তার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তার শরীরকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা।
সারাহ তার ওজন কমানোর প্রক্রিয়া নিয়ে রণবীর এলাহাবাদিয়ার (বিয়ারবিসেপস) সাথে একটি সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত বলেন। তিনি জানান, কলেজ জীবনে তিনি এতটাই মোটা ছিলেন যে ওজন মাপার যন্ত্র ভেঙে ফেলেছিলেন। সারাহ বলেন, আমি প্রচুর মিষ্টি খেতাম। ব্রাউনি, চকলেট—এসব খেয়ে ভাবতাম, আর কত মোটা হব?
ওজন কমানোর প্রেরণা হিসেবে তিনি করণ জোহরের কথার উল্লেখ করেন। করণ তাকে বলেছিলেন, যদি বলিউডে কাজ করতে চান, তাহলে অর্ধেক ওজন কমাতে হবে। এ কথাই তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
সারাহ প্রতিদিনের ডায়েট এবং শরীরচর্চায় মনোযোগ দেন। তিনি বলেন, আপনি কী খাচ্ছেন তার প্রতি নজর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের অনিয়ম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তিনি আরও বলেন, স্থূলতা শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে।
২০১৮ সালে ‘কেদারনাথ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেন সারাহ। দর্শকরা তার সৌন্দর্য এবং অভিনয় দেখে মুগ্ধ হন। তবে এই যাত্রা সহজ ছিল না। কঠোর পরিশ্রম, ডায়েট মেনে চলা এবং ফিটনেস নিয়ে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে সারাহ তার লক্ষ্য পূরণ করেন।
সারাহ বলেন, আমার শরীর এবং মনের জন্য ওজন কমানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। তবে ওজন কমালেও, সেই ফ্যাট কমপ্লেক্স সবসময় মাথায় থাকে। সবার উচিত নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া এবং মনের শক্তি দিয়ে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা।
কেকে/এএম