জয়পুরহাটে কালাই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভারসহ বিভিন্ন এলাকায় সরিষার হলদে ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠের পর মাঠ। এ উপজেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে।বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর ও অধিক মুনাফা লাভ করা যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
এ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৪ -২০২৫মৌসুমে ৩৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি প্রনোদনার আওতায় ২০২৪ -২০২৫ অর্থ বছরে এক হাজার আটশত জনকে কৃষকের মাঝে উন্নত জাতের সরিষা বারি -১৪ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। গত বছর ৬৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর বিপরীতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬শত ৫৫ মেট্রিক টন সরিষা।
এ উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হাতিয়র গ্রামের মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বছর দুই বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। বিঘা প্রতি প্রায় ৪-৫হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলন ভালো হবে।
এ উপজেলার আরেক কৃষক মামুনুর রশীদ বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে এক বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি। সরিষার জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবারও ভাল ফলন পাওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকাকে বলেন, কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বারি-১৪ সহ অন্যান্য সরিষা রোপণের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর ওই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে। তাই এ জাতের সরিষা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এবারের ফলন ভাল হলে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।
কেকে/এমএস