বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। পরিবেশ আসলেই আমরা বুঝতে পারবো কখন নির্বাচনের উপযুক্ত সময়। খুব বেশি সময় লম্বা হলে আবার ঐ ফ্যাসিস্টরা নব্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রের এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে যত দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবেন। এতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
আজ শনিবার দুপুর ১২ টায় শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, শরীয়তপুর জেলা শাখার রুকন সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল স্থান নষ্ট করে দিয়েছে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি হবে ২৪-এর গণবিপ্লব। এই বিপ্লবের চেতনায় সকল ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে।
“পৃথিবীর কোনো বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি, হয় না। বাংলাদেশেও জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি। বিদ্যমান সংবিধানে জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলন না হলেই জনগণ বিপ্লবের মাধ্যমে জন আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটায়। বিপ্লবের মাধ্যমে কোন সরকার পদত্যাগ করে না বরং ক্ষমতাচ্যুত হয়। পদত্যাগ সংবিধান মেনে হয় কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত সংবিধান মেনে হয় না, বিপ্লবের মাধ্যমে হয়।”
“শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র পালায়নি। হাসিনা ভারতে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, বিগত ১৫-১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আন্দোলন করতে গিয়ে কেউ গুম-খুন হয়েছে, কেউ হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। এসব অপকর্ম যারা করেছে তারা সবাই গ্রেফতার হয়নি। রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, বিচার প্রক্রিয়াও এখনও শুরু হয়নি। এজন্য সরকারের কাছে দাবি খুনিদের অনতিবিলম্বে বিচার করতে হবে। খুনিদের বিচার না করলে সমাজ আঘাতপ্রাপ্ত হবে এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশের আলেম ওলামাদেরকেও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের ওপর চরম জুলুম নির্যাতন করেছে শেখ হাসিনা। জলুমুদের অবসান হয়েছে। এখন সময় এসেছে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, শরীয়তপুর জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ মুহা. আব্দুর রব হাশেমীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন, মাদারীপুর জেলার সাবেক আমির আব্দুস সোবহান, শরীয়তপুর জেলার সাবেক আমির মাওলানা খলিলুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিভাগীয় প্রধান আজাহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য কেএম মকবুল হোসাইন প্রমুখ।
কেকে/এজে