গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আওয়ামী লীগের এক নেতার ছেলে নেতৃত্ব দেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ ও রামজীবন ইউনিয়ন একাদশের মধ্যকার খেলা শেষে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খেলা শেষে সবাই মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে স্থানীয় এক পক্ষ খেলোয়াড়দের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় নেতৃত্ব দেন সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা সাজু সরদারের ছেলে সাহস সরদার। তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় যুবক ফুয়াদ হাসান, তৌফিকুর রহমান, তিতু ও সাকিব।
হামলায় বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশের খেলোয়াড় রিফাত হোসেন (১৬) গুরুতর আহত হন। রিফাত উপজেলার বামনডাঙ্গা আব্দুল হক কলেজের শিক্ষার্থী ও একই ইউনিয়নের নগর কাঠগড়া গ্রামের বাসিন্দা আনিছুর রহমানের ছেলে।
ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
হামলার বিষয়ে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশের এক খেলোয়াড় বলেন, আমরা খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই তারা মাঠে ঢুকে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজনকে মারধর শুরু করে।
সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম রেজা বলেন, খেলা শেষে পুলিশ থানার দিকে চলে আসে৷ হামলার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজির হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। খেলা চলাকালীন এমন হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এএম