রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,
১১ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলা English

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয় ‘উগ্র বাম কমিউনিস্টদের’ ভোট দিতে      আগে স্থানীয় নির্বাচন, পরে জাতীয় নির্বাচন: আবদুল কাইয়ূম      পাহাড় খেকোদের ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদফতরের অনিহা       ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা      বাধ্যতামূলক অবসরে চার ডিআইজি      ভারতে বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান      বাধ্যতামূলক হচ্ছে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল      
জাতীয়
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে অসন্তোষ
ষড়যন্ত্রের শিকার প্রকৌশলী আফরোজা বেগম
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:০৪ এএম আপডেট: ১৪.০১.২০২৫ ১২:২৮ এএম  (ভিজিটর : ৭৩৮)
প্রকৌশলী আফরোজা বেগম | ছবি: সংগৃহীত

প্রকৌশলী আফরোজা বেগম | ছবি: সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপি পরিবারের সন্তান হিসেবে বৈষম্যের শিকার হন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আফরোজা বেগম। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশেও তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের অভ্যন্তরে। আলোচনা চলছে কর্মকর্তাদের টেবিলে টেবিলে। অনেকেই বলাবলি করছেন আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের রোষানলের শিকার হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, ২০২২ সালে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্বে ছিলেন প্রকৌশলী শাহ্ নইমুল কাদের। তিনি তার সর্বোচ্চ পদের মেয়াদ বাড়ানোর লোভে গঠন করেন ‘শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ’। এ পরিষদের আহ্বায়ক কমিটিতে কোনো আলোচনা ছাড়াই অন্তর্ভুক্ত করেন প্রকৌশলী আফরোজা বেগমের নাম। যদিও আফরোজা বেগম তখন ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে কমিটিতে নাম রাখার বিষয়ে আপত্তি তোলেন প্রকৌশলী আফরোজা। প্রতিবাদের মুখে তার নাম আহ্বায়ক কমিটির তালিকা থেকে বাদ দিতে বাধ্য হন প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার। 

এরপর ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন দেলোয়ার মজুমদার। এর মধ্যে ময়মনসিংহ সার্কেল থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে ৪ বছর ৭ মাস পর ২০২৩ সালের ১২ জুলাই প্রধান কার্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন আফরোজা বেগম। তবে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদে তার নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তাকে কোনো কাজ না দিয়ে ৬ মাস বসিয়ে রাখা হয়। এরপর সবকিছু ঠিকঠাক চললেও আবার বিদায়ী বছরের ২০ নভেম্বর তাকে ওএসডি করা হয়।

আফরোজা বেগম বলেন, ‘আমি বৈষম্যের শিকার হয়েছি। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সব সময় ন্যায়ের পথে থেকে জনস্বার্থে কাজ করার চেষ্টা করেছি। জন-আকাক্সক্ষা পূরণে প্রতিশ্রুত কর্মী এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে ৩১ বছর দায়িত্ব পালন করে চলেছি। জনস্বার্থে কাজ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে দক্ষতা ও ন্যায়পরায়ণতা রক্ষা করেছি। আমার বিষয়ে আনীত অভিযোগ মনগড়া, বানোয়াট, অসত্য এবং হীনস্বার্থ চরিতার্থে করা, যা সত্যের অপপ্রলাপ মাত্র।’ 

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই। ২০১২ সালে আইইবি’র নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। সব সময় বিভাগীয় সুনামের প্রতি লক্ষ রেখেছি। চাকরি জীবনের শেষে এসে আমি বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদায়নে মানসিকভাবে বিড়ম্বনার সম্মুখীন ও মর্মাহত এবং সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’ এজন্য নিয়মিত সম্মানজনক পদে পদায়নের জন্য অনুরোধ জানান তিনি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, আফরোজা বেগমকে ওএসডি করে রাখায় তারা বিস্মিত হয়েছেন। কারণ বিগত সরকারের সময়ে তিনি ঢাকায় পদায়নের চেষ্টা করেও আসতে পারেননি। তাকে দীর্ঘদিন ময়মনসিংহ সার্কেলে রাখা হয়। আবার পরে ঢাকায় বদলি হয়ে এলেও ৬ মাস তাকে বসিয়ে রাখা হয়। 

তারা বলেন, অফিস অর্ডারের বাইরে আফরোজা বেগম কখনো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি। কয়েকজন সুবিধাভোগী কর্মকর্তার রোষানলে পড়ে তিনি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তাকে ওএসডি করানোতে তারা সুবিধা পেয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ভেতরে ভেতরে অসন্তোষ থাকলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় কেউ প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস দেখাচ্ছে না।

এদিকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী পদ ছাড়াও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদটি এক বছরাধিককাল যাবৎ শূন্য রয়েছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অবকাঠামো নির্মাণের কাজে নিয়োজিত এ দফতরের শীর্ষ পদটি ফাঁকা থাকায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে জানিয়েছেন অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা। 

প্রকৌশলী আফরোজা বেগম দীর্ঘ ৩১ বছরের চাকরি জীবনে চট্টগ্রাম এ সহকারী প্রকৌশলী পদে ৩ বছর, নারায়ণগঞ্জ এ সহকারী প্রকৌশলী পদে ২ বছর, লক্ষ্মীপুর নির্বাহী প্রকৌশলী পদে প্রায় ১ বছর, ময়মনসিংহ এ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে ৪ বছর সাড়ে ৬ মাস সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। চাকরি জীবনের বেশির ভাগ সময় ডিজাইন শাখায় নিজেই স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ও ড্রইং সততার সঙ্গে কাজ করেছেন। সারা দেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির অগণিত বিল্ডিং ডিজাইনের মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি বিল্ডিং, হোস্টেলসহ (তিনটি স্থাপনা-বিল্ডিং) উল্লেখযোগ্য। 

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর   প্রকৌশলী আফরোজা বেগম  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

সায়ান রিসোর্টের আড়ালে নারী ও মাদক ব্যবসা
বীরগঞ্জে আন্দোলনের মুখে আলু সংরক্ষণ হিমাগার সীলগালা
বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয় ‘উগ্র বাম কমিউনিস্টদের’ ভোট দিতে
দনিয়া কলেজে নবীন বরণ, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
আগে স্থানীয় নির্বাচন, পরে জাতীয় নির্বাচন: আবদুল কাইয়ূম

সর্বাধিক পঠিত

বিদ্যালয়ে না গিয়েও সুবিধা ভোগের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
ওয়েস্ট অ্যান্ড হাই স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি মীর নেওয়াজ
টঙ্গীতে আ.লীগের নেত্রীসহ পাঁচজন গ্রেফতার
পাহাড় খেকোদের ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদফতরের অনিহা
বোরো চাষে পানির মহা সংকটে কুষ্টিয়ার লক্ষাধিক কৃষক

জাতীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝