ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের ১৪তম দিনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে ঘর সাজানোর উপকরণ, কার্পেট, এবং গয়নার বিদেশি স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রথম দিন থেকেই বিক্রি বাড়াতে প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন পণ্যে মূল্যছাড় দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।
মেলায় তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী ঝাড়বাতির স্টল বরাবরের মতোই দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। বাহারি রঙের আলোকসজ্জার ঝাড়বাতি ঘর সাজানোর জন্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। এসব বাতি কিনলে পাওয়া যাচ্ছে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়।
সিলেট সরকারি ক্যাডেট কলেজের প্রভাষক রাশিদা খানম মেলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, এবার ঘর সাজানোর পণ্যগুলো বেশ মানসম্মত ও আকর্ষণীয়। এগুলো ঘরকে সুন্দরভাবে আলোকিত করে তোলে। দামটাও নাগালের মধ্যে।
কাঞ্চন পৌর এলাকার স্কুল শিক্ষার্থী রূপা সিকদার বলেন, ঝাড়বাতি ও ঘর সাজানোর জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে আমি প্রতি বছরই মেলায় আসি। এবারের পণ্যগুলোও অনেক সুন্দর।
ইরানি কার্পেট স্টলগুলোতেও ছিল ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি আলী হামজা জানান, আমাদের সব পণ্য হাতে তৈরি। এগুলোতে ২৫ শতাংশ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে।
এক ক্রেতা বলেন, হাতে তৈরি কার্পেটগুলো দারুণ লেগেছে। এগুলো ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়। তাই ঘর সাজাতে কার্পেট কিনছি।
তুর্কি কার্পেট বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, আমাদের কার্পেটগুলো অরিজিনাল তুর্কি। দাম ৬ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে। মেশিনে তৈরি কার্পেটের পাশাপাশি হাতে বানানো কার্পেটও পাওয়া যাচ্ছে।
মেলায় আসা দর্শনার্থীদের যাতায়াতে বিআরটিসি বাসের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। টিকেটে নির্ধারিত ভাড়া ৩৫ টাকা থাকলেও সন্ধ্যার পর তা ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
বাড্ডার বাসিন্দা মমিনুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার পর টিকেটের চেয়ে বেশি ভাড়া দিতে হয়। গত দুই দিন ধরেই এই ভোগান্তি চলছে।
এ বিষয়ে বিআরটিসি মেলা অঞ্চলের সুপারভাইজর আমির হোসেন জানান, টিকেট মূল্যের অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে কোনো অভিযোগ থাকলে তা সমাধান করা হবে।
কেকে/এএম