সিলেটসহ দেশের গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারির পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আবারও সচল হতে যাচ্ছে পাথর কোয়ারিগুলো।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরিনা আফরিন মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বের আদেশটি বাতিল করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালে সারাদেশের গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি, সিলিকাবালু কোয়ারি, নূরীপাথর, সাদা মাটি উত্তোলনসহ অন্যান্য সকল কোয়ারির ইজারা আপাতত বন্ধ থাকবে মর্মে গৃহীত পূর্বের সিদ্ধান্তটি বাতিল করা হলো।
জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে পাথর উত্তোলন। তবে বিগত সরকারের আমলে চোরাইভাবে পাথর উত্তোলন চললেও ৫ আগস্টের পর সিলেটের জাফলং, জৈন্তাপুর, সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, শাহ আরেফিন টিলায় কোটি কোটি ঘনফুট পাথর লুটপাট হয়। এ সকল ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর বেশ কয়েকটি মামলা করে।
এছাড়া পাথর লুটপাটের পাশাপাশি উত্তোলিত পাথর পরিবহন ও বিপণনে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সকল ঘটনায় বিএনপি বেশ কিছু নেতাকর্মীকে বহিষ্কারও করে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার আসামি ও লুটপাটকারীরা দাবি করে আসছেন, কয়েক বছর কোয়ারি বন্ধ থাকা ও পাথর উত্তোলন না করায় নদীর প্রবেশমুখে স্তূপাকারে আটকে আছে পাথর। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাথর লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এতে সরকারও বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া কোয়ারি বন্ধ থাকায় বেকার হয়েছেন কয়েক লাখ শ্রমিক।
তবে শ্রমিকরা জানান, সাত বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শ্রমিক বিকল্প পেশা বেছে নিয়েছেন। যারা পাথর উত্তোলনে জড়িত তারা মূলত রাতের আঁধারে প্রশাসনের লোকজনের যোগসাজশে চুরি করে পাথর উত্তোলন করে আসছে।
ব্যবসায়ীরা বারবারেই দাবি জানাচ্ছিলেন, কয়েক বছর কোয়ারি বন্ধ থাকা ও পাথর উত্তোলন না করায় নদীর প্রবেশমুখে স্তুপাকারে আটকে আছে পাথর। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাথর লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এতে সরকারও বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া কোয়ারি বন্ধ থাকায় বেকার হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক। মানবেতর জীবনযাপন করছেন কোয়ারির সাথে জড়িত শ্রমিকেরা।
কেকে/এএম