রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, কাফরুলসহ বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন সংগঠন সমাবেশের আয়োজন করে।
আজ রাজধানীর মিরপুরস্থ রূপনগর কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মিরপুর উত্তর থানা শাখা আয়োজিত এক সহযোগি সদস্য সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এসময় থানা আমির মনিরুল ইসলাম মৃধার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম রিমনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ও মিরপুর জোন পরিচালক মাহফুজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন শাহ আলী থানা আমির ডা. মাঈন উদ্দিন ও থানা নায়েবে আমির শিক্ষাবিদ এম এম লিয়াকত আলী প্রমূখ।
কাফরুল দক্ষিণ থানায় কর্মী সমাবেশ
কাফরুল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তালতলা পূর্ব ওয়ার্ডের সভাপতি ও থানা কর্মপরিষদ সদস্য সালাউদ্দিন শাহিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও কাফরুল দক্ষিণ থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, শেরেবাংলা নগর উত্তর থানা আমির আব্দুল আউয়াল আজম ও কাফরুল দক্ষিণ থানা সেক্রেটারি মু. আবু নাহিদ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা জাকির হোসেন, রুহুল আমীন, মাও এনামুল হক, ও আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
ফার্মগেটে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ
কেন্দ্র ঘোষিত চলমান বায়তুলমাল ও সাংগঠনিক পক্ষ উপলক্ষে শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ থানার পূর্ব রাজাবাজার ও ফার্মগেট ওয়ার্ডের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। থানা কর্মপরিষদ সদস্য ও ফার্মগেট ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুজ জাওয়াদের সভাপতিত্বে ও পূর্ব রাজাবাজার ওয়ার্ডের সভাপতি এম কে নাদিমের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি এবং হাতিরঝিল অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মু. আতাউর রহমান সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানার সাবেক আমীর অধ্যাপক আ জ ম কামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ও শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ থানা আমীর মাওলানা আমিনুল ইসলাম, থানা সেক্রেটারি আবু সাঈদ মন্ডল, থানা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য জামিল বিন হোসাইন।
বক্তব্য রাখেন পেশাজীবি ওয়ার্ড সভাপতি শাহ মজুদ উদ্দিন, আলমগীর মিয়া, জামায়াত নেতা শেখ ফরিদ, হাবিবুর রহমান, শফিকুর রহমান, আল হিজবুল বাহার, এস এম সাইফুল্লাহ স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিজ, চিকিৎসক ডা. মো. ইয়াহিয়া ও ব্যাংকার জহির উদ্দিন বাবর প্রমুখ।
এদিকে মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজপথে নারকীয় হত্যাকাণ্ড নিছক কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা হত্যাকাণ্ড ছিল না বরং তা ছিল আমাদের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমেই আমরা আমাদের দেশের ওপর কার্যত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় একটি আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সেবাদাস সরকার। ফলে দেশে ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
“সাড়ে ১৫ বছরের বাকশালী সরকারের হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়। ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র দেড় মাসের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সাহসী, মেধাবী ও চৌকস সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা জড়িত। তারা কথিত বিচারের নামে প্রসহন করে জাতীয় নেতাদের একের পর এক হত্যা করে দেশের মানচিত্রকে রক্তাক্ত ও কলুষিত করে।”
তিনি আরো বলেন, ৫ মে হেফাজতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পৈশাচিক নিধনযজ্ঞ চালানো হয়। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি বরং ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। শহিদ আবু সাইদ ও মুগ্ধসহ প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-শ্রমিক জনতার জীবনদান, অসংখ্য মানুষের পংগুত্ব বরণ, হাজার হাজার মানুষের ত্যাগ ও কোরবানির মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাই এই বিজয়কে অর্থবহ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এসময় তিনি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জামায়াতের সকল স্তরের জনশক্তিকে সব সময় সতর্ক থাকার আহবান জানান।
কেকে/এজে