২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী প্যাভিলিয়ন পূর্বাচলে চতুর্থবারের মতো আয়োজিত মাসব্যাপী মেলা জমজমাটভাবে চলছে। তবে মেলার ১৫তম দিন, বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পার্কিং ও যানজট সমস্যা মেলায় আসা দর্শনার্থী ও আশপাশের এলাকায় নিয়মিত চলাচলকারীদের জন্য বিরাট ভোগান্তি তৈরি করেছে।
মেলার মূল ভবনের পশ্চিম পাশ দিয়ে চলে যাওয়া ঢাকা বাইপাস সড়কের ৮ লেন উন্নীতকরণের কাজ চলমান থাকলেও সড়কের প্রায় ৫০০ মিটার জায়গা পার্কিংয়ের জন্য দখল করে রেখেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। পুলিশ দাবি করছে, এই পার্কিং টেন্ডারের আওতায় করা হচ্ছে।
গুলশান থেকে আসা প্রাইভেটকার চালক শামীম মিয়া বলেন, সড়কের মাঝখানে পার্কিং করতে বললো পুলিশ। তিন ঘণ্টার জন্য ৫০ টাকার টিকিট দিয়েছে। এক মিনিট দেরি হলে আরও ৫০ টাকা রাখবে হুঁশিয়ারী করেছেন
কুড়িল থেকে আসা আরেক চালক জয়নাল আবেদীন জানান, মেলার ভেতরের পার্কিং জোন ফাঁকা থাকলেও বাইপাস সড়কে পার্কিং করায় বিকেলের পর ভয়াবহ যানজট হয়। এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
সড়কে দায়িত্বপ্রাপ্ত টিআই রাজীব বাহাদুর বলেন, পার্কিং কেন হচ্ছে তা আমার জানা নেই। দায়িত্বে আছেন টিআই গৌরাঙ্গ দাস।
এ বিষয়ে টিআই গৌরাঙ্গ দাস বলেন, মেলার পরিস্থিতি সামাল দিতে সড়ক টেন্ডারের আওতায় আনা হয়েছে। তবে বিস্তারিত জানেন জেলা এএসপি আলফা ফাইভ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের এএসপি (আলফা ফাইভ) সাগর বলেন, সরকারি ছুটির দিনে ভিড় সামলাতে সড়কের কিছু অংশ পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সামনের বছর এটি বন্ধ করার পরিকল্পনা আছে।
মেলায় যাতায়াতকারী অনেকেই বিআরটিসি বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। বাড্ডার বাসিন্দা মমিনুল ইসলাম বলেন, ৩৫ টাকার টিকিটে সন্ধ্যার পর ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
বিআরটিসি মেলা অঞ্চলের সুপারভাইজর আমির হোসেন বলেন, টিকিটের অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে কোনো অভিযোগ পেলে সমাধান করা হবে।
সড়কে পার্কিং ও যানজটের কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়াও গণপরিবহনে আসা দর্শনার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, সড়কের জায়গা দখল করে পার্কিং করায় গণপরিবহনে আসা লোকজন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ছিনতাইকারীরাও সুযোগ নিচ্ছে।
কেকে/এএম