ছাত্রদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় বাধা সৃষ্টি করছে বিএনপি। ক্ষমতার গন্ধে মাতোয়ারা এই দলটির দীর্ঘমেয়াদী মুক্তির কোনো আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা তুলে ধরেন।
তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
ছাত্ররা চাইল, চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। এমনকি বিজয় দিবসে তারা চুপ্পুর দাওয়াতেও যায় নাই। কিন্তু নানারকম ওকালতি দেখায়ে কারা হাসিনার কর্মীটারে বঙ্গভবন রেখে দিয়েছিল? উত্তর— বিএনপি।
ছাত্ররা চাইল, মুক্তিযুদ্ধের লাখ লাখ মানুষের রক্তের সাথে বেঈমানি করা সংবিধান থাকবে না। নতুন সংবিধান লাগবে, নতুন রিপাবলিকের সূচনা করতে হবে। কিন্তু পুরোনো আওয়ামী চেতনার বয়ান ধরে রেখে কারা সংবিধানকে অটুট রাখল? উত্তর— বিএনপি।
ছাত্ররা দাবি করল, জুলাই প্রোক্লেমেশন। শুরু থেকেই এতে বাধা দিচ্ছে বিএনপি। ছাত্ররা চেয়েছিল বৃহৎ জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে প্রোক্লেমেশন ঘোষণা হোক। ৩১ ডিসেম্বর তারা ধৈর্য্য ধরে প্রোক্লেমেশন দিলো না, যাতে সকল দল-মতের জায়গা থাকে। অথচ প্রধান উপদেষ্টার ডাকে যখন সবাই এক হচ্ছে, তখন এই জাতীয় ঐক্য থেকে নিজেদের দূরে রাখছে বিএনপি।
২ হাজার মানুষের জীবন দিয়ে যে গণঅভ্যুত্থান হলো, তার পরে মানুষ র্যাডিক্যাল পরিবর্তন চাইছে। কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি। ক্ষমতার গন্ধে মাতোয়ারা এই দলটির দীর্ঘমেয়াদী মুক্তির কোনো আগ্রহ নেই। গণঅভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থাকছে শুধুমাত্র বিএনপির কারণেই।
কেকে/এএম