পটুয়াখালীর দশমিনায় মন্দির দখলকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে কৃষ্ণ ও মতুয়া ভক্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে মন্দির দখল নিয়ে আহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়াপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে একটি কৃষ্ণ মন্দির রয়েছে। সেখানে কৃষ্ণ ভক্তরা পূজা অর্চনা ও প্রার্থনা করে থাকে। বছর কয়েক আগে ওই কৃষ্ণ মন্দিরের পাশে আরেকটি মন্দির প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সেখানে মতুয়া সম্প্রদায় পূজা ও প্রার্থনা করে আসছে। মতুয়া সম্প্রদায় মন্দির করার পর থেকে কৃষ্ণ ভক্তরা তা মেনে নিতে পারেনি। এই মন্দির নিয়ে তাদের দুই গ্রুপে প্রায়ই ঝগড়া বিবাধ লেগেই থাকতো। এই মন্দির নিয়ে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের কৃষ্ণারানী মন্দিরে পূজা দিতে আসলে কৃষ্ণ ভক্ত লক্ষী রানী বলেন, ভয়ে লোকজন নিয়ে পূজা দিতে আসছো। এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, নারী, বৃদ্ধ নারী-পুরুষ সহ ৮ জন আহত হয়। দশমিনা থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
মতুয়া সম্প্রদায়ের আহত ভক্ত কৃষ্ণ রানী বলেন, আমরা ভিন্ন একটি জায়গায় মন্দির করে পূজা ও প্রার্থনা করি। মন্দির নির্মাণ করার পর থেকে কৃষ্ণ ভক্তরা সাধারণ ভাবে তা মেনে নিতে পারেনি। গত কয়েকমাস আগে তারা আমাদের মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে খালে ভাসিয়ে দেয়। আমরা সন্ধ্যায় পূজা দিতে গেলে কৃষ্ণ ভক্তরা আজেবাজে কথা বলে প্রতিবাদ করলে শিবাষ, সুমন, সাগর, ও তমিজসহ ১০-১২ জন আমাদের টানাহেচড়া করে পিটায় ও পারায়। আমার ছেলে নিকট চন্দ্র আমাদের রক্ষা করতে আসলে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করায় আহত হয়।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আহতের চিকিৎসার জন্য দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কৃষ্ণ ভক্ত ও মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকদের থানায় ডাকা হয়েছে। তাদের দুই পক্ষের কথা শুনে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এএম