রৌমারীতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মী রেজাউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় আসামিকে কুড়িগ্রাম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার দাঁতভাঙ্গা বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রেজাউল ইসলাম উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন ইউনিয়নের উজান ঝগড়ার চর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। সে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী ছিল।
রেজাউলের বাবা মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে ছাত্রলীগের কোনো পদে ছিলো না। তবে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যাওয়া-আসা করত এবং রাজনৈতিক পরিচয়ে কোনোদিনও মারামারি কিংবা অন্যায় কোনো কাজে জড়িত ছিল না। পুলিশ শুধু অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের গ্রেফতার না করে নির্দোষ কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওসি লৎফর রহমান জানান, গত বছরের ৪ আগস্ট কোটাবিরোধী আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের জন্য ছাত্র-জনতা মিলে রৌমারী সরকারি কলেজ মাঠে সমবেত হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাধারণ ছাত্র-জনতার উপর দেশীয় অস্ত্র, চা পাতি, চাইনিজ কুড়াল সহ বিভিন্ন অস্ত্রসহ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ইসরাফিল হক নামের একজন বাদী হয়ে রৌমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। নিষিদ্ধ সংগঠনের উগ্রপন্থি ছাত্রলীগ কর্মী রেজাউল ইসলামকে তদন্তপ্রাপ্ত হয়ে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ইতোমধ্যে এ মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কেকে/এআর