গাইবান্ধায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ছোটবোনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্য ফাতেমা তুজ জোহরা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাতেমা তুজ জোহরার মা ফাইমা বেগম ও ছোট দুই বোন খাদিজা তুজ তাহেরা ও উম্মে হাবিবা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৬ আগষ্ট শহরের পশু হাসপাতাল রোডের আমজাদ হোসেনের ছেলে আসিফ ফয়সাল লেলিনের সাথে ফাতেমা তুজ জোহরার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য লেলিন তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতো। ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবা মারা গেলে আমার বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আনার জন্য নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আমার সুখের জন্য মা বিভিন্ন সময়ে লেলিনকে ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেয়। আবারো নতুন ব্যবসা খোলার কথা বলে আমার বাবার পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করা আরো ২০ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্ত কোন ব্যবসা কিংবা দোকান না দেখতে পেয়ে আমি তার কাছে টাকা কোথায় জানতে চাইলে লেলিন আমাকে মারধর করে এবং আমি ও আমার ছোট দুই বোনকে হত্যার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আমার খালুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই। এবং লেলিনকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠাই। গত ৮ জানুয়ারি শহরের গোরস্থান পাড়ায় আমার দাদুর মরদেহ দেখে ফেরার পথে লেলিন তার লোকজন নিয়ে আমার ছোট দুই বোনকে মারধোর করে আমাকে জোর পুর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে এবং লেলিনকে আটক করে। এরপর থেকে লেলিনের পরিবার আমার ছোট দুই বোনসহ আমার পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে সে আরো বলেন, মা ও আঙ্কেলের নামে ঢাকার সাভারে বাসা ভাড়া নিয়ে একটি মামলা করে। পরে একের পর এক মামলা করতে থাকে। গাইবান্ধায় মোট চারটি মামলা দেয় সে। দ্রুত এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রাণি বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফাতেমা তুজ জোহরার মা কাহিসা বেগম,দুই ছোট বোন খাদিজা হাবিবাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
কেকে/এমএস