ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থগিত (বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা) করেছে। তার দাবি, মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের নাম প্রকাশ করতে হবে হামাসকে, অন্যথায় কার্যকর হবে না যুদ্ধবিরতি।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, মন্ত্রীসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন দিলেও এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) অভিযান থামানোর নির্দেশ দেননি নেতানিয়াহু। তিনি বলছেন, মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের নাম হামাস ঘোষণা না করা পর্যন্ত এটি কার্যকর হবে না।
এদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কারিগরি সমস্যার কারণে মুক্তি পেতে যাওয়া তিন জিম্মির নাম প্রকাশে দেরি হচ্ছে।
বিবিসি বলছে, যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হলো মুক্তি দেওয়ার অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে জিম্মিদের নাম ইসরায়েলের কাছে পাঠাতে হবে। তবে, আধ ঘণ্টা আগেও এই তালিকা ইসরায়েলের হাতে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এমনকি কোথায় বন্দি বিনিময় হবে, সেটাও গতকাল রাত পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ কার্যক্রমের জন্য সীমান্তের কাছে তিনটি সম্ভাব্য অবস্থান প্রস্তুত রেখেছে। এগুলো হলো গাজার কেন্দ্র, উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত।
এছাড়া, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক টেলিভিশন বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, এই ‘যুদ্ধবিরতি সাময়িক’ এবং ‘অভিযান এখনো শেষ হয়নি’। যুদ্ধবিরতির কোনো শর্তের লঙ্ঘন হলে আবার গাজায় হামলা চালানোর অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, উভয়ে সমর্থন করবেন। আমরা যদি আবার হামলা শুরু করি, তা হবে আরও জোরালো।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ৪২ দিনের বিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল। তবে নেতানিয়াহুর এসব বক্তব্যে আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এই উদ্যোগ।
কেকে/এআর