গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই লাপাত্তা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোনায়েম খান। মাঝে মাঝে কলেজের বারান্দায় দেখা গেলেও নিয়মিত কলেজে পাওয়া যায় না সেই অধ্যক্ষকে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজিরা খাতায় ২০২৪ সালের পুরো আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে নেই কোন স্বাক্ষর, অক্টোবর মাসের ২০ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত স্বাক্ষর থাকলেও নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে রয়েছে পুরোই ফাঁকা। ২০২৫ সালের শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত রয়েছে সেই অধ্যক্ষের স্বাক্ষর।
তবুও উত্তোলন করছেন প্রতি মাসের বেতন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য। আওয়ামী সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর ছত্রছায়ায় থাকাকালীন নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে চলাফেরা করতেন নিজের ইচ্ছামত এবং কলেজ কে বানিয়েছিলেন রাজনৈতিক কার্যালয়।
এলাকাবাসী লেলিন খান বলেন, তিনি কলেজকে বানিয়েছিলেন রাজনৈতিক কার্যালয়। আমিসহ অনেক এলাকাবাসী মিলে অনেক আগেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারীতা, দূর্নীতি এবং নিয়োগ বানিজ্যসহ নানা অভিযোগ লিখিতভাবে দায়ের করেছিলাম।
এ বিষয়ে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মোনায়েম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষক হাজিরা খাতা চুরি হয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা আছে। আমি এ বিষয়ে পরে কথা বলব বলে, তিনি এড়িয়ে যান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক বলেন, তিনি প্রতিষ্ঠানের সভাপতির কাছ থেকে ছুটি নিতে পারে এবং ছুটি নিয়ে বাইরে থাকতে পারবে। একজন কলেজের অধ্যক্ষ নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসা প্রয়োজন। ছুটি ছাড়া কলেজে না আসা, বেআইনি। কলেজে যদি নিয়মিত না আসে, তাহলে বেতন নেওয়াটা বিধিমোতাবেক নয়।
এ বিষয়ে নবাগত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, আমি নতুন এসেছি। আমাকে এই বিষয়ে কেউ জানায়নি। আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এর আগেও ঘুষ, অনিয়ম, দূর্নীতি, সেচ্ছাচারীতা ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
কেকে/এমএস