বিতর্কের মুখে এবার অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নিল ব্রিটিশ এমপিদের সংগঠন অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) অন দ্য কমনওয়েলথ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
গত নভেম্বরে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, ইউনূস সরকার আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে আরও দাবি করা হয়, বর্তমানে দেশে কট্টর ইসলামপন্থীদের ক্ষমতায়ন হয়েছে।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার ভাগনি ব্রিটিশ নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পর বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রূপা হক। তিনি সামাজিকমাধ্যম এক্সে (পুরোনো টুইটার) লিখেছেন, অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) অন কমনওয়েলথ ইউনূস সরকার সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার করেছে।
তিনি এ প্রতিবেদনের অসামঞ্জস্যতা নিয়ে যুক্তরাজ্যের হাউস অফ কমন্সে অভিযোগ করেছেন। এরপরই এটি প্রত্যাহার করে তা পুনরায় পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয় এপিপিজি।
দ্য গার্ডিয়ান বলছে, এপিপিজির ওই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে করা হয়েছে।
এপিপিজির প্রতিবেদনটিতে নয়াদিল্লিভিত্তিক থিংকট্যাংক রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপ’র তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বলা হয়, সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি, সাবেক বিচারপতি, পণ্ডিত, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যার মিথ্যা অভিযোগ এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে মানবাধিকার ও আইনের শাসন সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
গত ৪ ডিসেম্বর, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি এবং জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারকে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের প্রতি আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা এপিপিজির প্রতিবেদনে মূল তথ্যের অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরেন। এ ক্ষেত্রে তিনি ৫ আগস্টের আগে বহু ছাত্রের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ না করার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
কেকে/এইচএস