জুলাইয়ে কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পরও এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা হয়। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার ( ১৯জানুয়ারি ) রাত সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে 'কোটা না মেধা,মেধা মেধা', 'আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ', 'সারাবাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এসময় জুলাইয়ে কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পরও কোটাব্যবস্থা বিলুপ্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ খান বলেন, যে কোটার জন্য দুই হাজারের ও অধিক মানুষ জীবন দিয়েছে, হাজার হাজার মানুষেরা অঙ্গহানি হয়েছে সেই কোটা এখনো বহাল আছে এর চেয়ে নিন্দনীয় ঘটনা আর কি হতে পারে।অন্তবর্তীকালীন সরকার কি ভুলে গেছে যে তারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। একজন ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ পেয়ে চান্স পায়না আর একজন ৪৪ পেয়ে কিভাবে চান্স পায়।
কোটক সংস্কারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কারের আগে কোটা সংস্কার হোক। যদি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কোটা সরিয়ে না নেওয়া হয় আবার রাজপথে নামব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার তুষার বলেন, দুই হাজার মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই সরকার। তারা এখনো কি করে কোটাব্যবস্থা চালু রাখে। পরীক্ষায় একজন ৪১ পেয়ে কোটায় চান্স পেয়ে যায়, আরেকজন তার থেকে বেশি নাম্বার পেয়েও চান্স পায়না।
তিনি বলেন, আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, আপনারা হাসিনা মতো হবেন না। যদি আবার দেখি বৈষম্যমূলক কোটা আছে তাহলে আমরা আপনাদের মনে করিয়ে দিবো হাসিনার পরিনতির কথা।
প্রসঙ্গত, রোববার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ নম্বর পেয়েও যেখানে হাজারও শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, সেখানে বিভিন্ন কোটায় ৪১-৪৬ নম্বর পেয়েও প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কেকে/এইচএস