সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী এম শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে পরিবার ও ছাত্রদের পক্ষ থেকে উত্তরায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় উত্তরা প্রেস ক্লাবে এম শরীফ উদ্দিনের স্ত্রী আখি শরীফসহ তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা উপস্থিত থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে তার মুক্তি দাবি করেন।
এসময় এম শরীফ উদ্দিনের স্ত্রী আখী শরীফ বলেন, আমার স্বামী কখনই কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কল্যণ সমিতিতে মেজর অব. আনিছুর রহমানের প্রতিপক্ষ হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। তার পর থেকেই এই আনিছুর রহমান আমাদের পিছনে লাগে। আনিছুর রহমান ও তার দোসররা মিলে কৌশলে এম শরীফর উদ্দিনের নাম মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। গত কিছু দিন আগে যৌথবাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি জেলখানায় আছেন।
তিনি আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের পানি, খাবার, সেলাইন দিয়ে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন এমন প্রমাণ আমার কাছে অনেক আছে। আমি আমার স্বামীর নামে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ দ্রুত মুক্তি চাই।
এম শরীফ উদ্দিনের ভাতিজি উর্মি বলেন, আমরা মামলার বাদির সাথে কথা বলেছি। তারা জানায়- আমরা শরীফ উদ্দিন নামে কাউকে চিনি না। আমাদের মামলার আসামী ছিল ১৬ জন পরে শুনি ২শ-এর অধিক মানুষকে আসামী করা হয়েছে। কে বা কারা এসব নাম মামলায় যুক্ত করেছে তার কিছুই আমরা জানিনা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫০ জন ছাত্র উপস্থিত থেকে শরিফ উদ্দিনের আন্দোলনে থাকার ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়।
তাদের পক্ষ থেকে উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সিফাত বলেন, ‘আমার বাসা ওনার (এম শরীফর উদ্দিন) বাসার পাশেই। যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় তখন ওনি আমাকে আন্দোলন করার পরামর্শ দেন এবং আমাকে বলে তাদের যখন যা লাগবে আমাকে বললে আমি ব্যবস্থা করে দিবো। আজমপুর থেকে এপিবিএন পর্যন্ত আমরা যারা ছিলাম তাদের পানি, খাবার দিয়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। দুঃখের বিষয়- যাদের নিয়ে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করেছি তারাই আজ মিথ্যা মামলায় জেলে। এমন দেশতো আমরা চাইনি।’
উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থী আকাশ বলেন, আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট আমি গুলিবিদ্ধ হই। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাসহ অনেক সহযোগিতা করেছেন এম শরীফ উদ্দিন। আর এখন শুনি তিনিই নাকি হত্যা মামলার আসামী। মামলা থেকে শরীফ উদ্দিনের নাম প্রত্যাহার করে দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
এসময় শরিফ উদ্দিনের পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এজে