বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর এলাকায় তুলার গুদামে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে দুইটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি তুলার গুদাম, তোষক তৈরি কারখানা সহ অবকাঠামো পুড়ে গেছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের খুলনা সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক আবু বকর জামান।
পুড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান দুটি হলো মেসার্স নিয়ামুল এন্টারপ্রাইজ এণ্ড কটন রিফাইনিং মিলস এবং ইমন এন্টারপ্রাইজ এণ্ড কটন মিলস। ২০১২ সালে ফকিরহাট উপজেলার লখপুরে প্রতিষ্ঠান দুইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
মেসার্স নিয়ামুল এন্টারপ্রাইজ এণ্ড কটন রিফাইনিং মিলসের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, রবিবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। এসময় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েতে থাকে। কর্মরত শ্রমিকেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে। সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসে জানানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুইটিতে দেড়শত শ্রমিক কাজ করেন। আগুনে তুলা ভর্তি ৫টি গুদাম, কারখানার নতুন ও পুরাতন মেশিনারিজ এবং অবকাঠামো পুড়ে যাওয়ায় প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুনে গুদামের প্রায় ৮০ভাগ পুড়ে গেছে। যে তুলা রয়েছে তা পানিতে ভেজা ও আগুনের ধোয়ায় ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।’
ফকিরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা সাড়ে ৭টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনা সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক আবু বকর জামান জানান, বাগেরহাট ও খুলনার ৪টি ইউনিট প্রায় সাড়ে চার ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নির্বাপনে সক্ষম হয়। ইউনিটগুলো একটু দুরে থাকায় পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি ও আগুন লাগার কারণ জানা যাবে।
কেকে/এমএস