পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে বসেই আগামী ডিসেম্বরে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক ফোন কলে এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
গোবিন্দগঞ্জের এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ফোনালাপ হুবহু তুলে ধরা হলো-
শেখ হাসিনা- যারা এখন বেশি বেশ বাড়াবাড়ি করছে, বাড়াবাড়ি করে লাভ নাই। ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখ। যেগুলো লাফালাফি করছে একটারও আস্ত থাকবে না। ঠিক আছে?
-জি নেত্রী, আপনার কথায় আমরা ভরসা রাখছি। আপনি মাথা ঠান্ডা রেখে আপনার কৌশলে সামনে এগিয়ে যান। তবে সবাইকে সবকিছু বলার দরকার নাই।
-সবাইকে বলো দুই মাস অপেক্ষা করতে। এখন কেউ কিছু করবে না। আর যদি আমরা কিছু করি, তাহলে বলবে আমাদের জন্য পারেনি। এখন আর বলার কোনো সুযোগ নাই। আন্তর্জাতিকভাবে সুদখোর ইউনূসের মুখোস উন্মোচন হয়ে গেছে।
-জি নেত্রী, ইতোমধ্যে বাংলার মানুষ এগুলো বুঝতে পেরেছে। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না।
-এখন ভয় পাওয়ার কিছু নাই। ওদেরকে ভয় দিতে হবে। সেভাবে প্রস্তুতি নাও।
-জি নেত্রী, ইনশা-আল্লাহ।
-আমাদের গোবিন্দগঞ্জ এমপি কালাম ভাই। ওনার বাড়ি-গাড়ি সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
-আমি উপজেলা বর্তমান চেয়ারম্যান ছিলাম, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম পর পর দুবার। আমি ছাত্রলীগের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমারও বাড়ি-গাড়ি সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের নামে অসংখ্য মামলা দিয়েছে। আপনি শুধু আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
-তোমাদের ঘরবাড়ি কারা পুড়েয়েছে?
-ওরাই নেত্রী। জামায়াত-বিএনপি।
-ওদের ঘরবাড়ি নাই? সবকিছু কি প্রকাশ্যে করতে হয়?
-জি নেত্রী (না সূচক)
-তোমাদের ঘর-বাড়ি নাই, তাদেরও ঘরবাড়ি থাকবে না। সবকিছু কি বলে দিতে হয়?
-কিন্তু নেত্রী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধরণ সম্পাদকের নামে একটি মামলাও হয়নি।
-ওরা দেখে দেখে তালিকা করে কারা পোটেনশিয়াল। দেখে দেখে হামলা করে। তোমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়েছে, তোমরা তাদের বাড়িঘরে হামলা করো।
-আপনার সাথে কথা বলে বুকটা ভরে গেল নেত্রী।
-আমার নামে সারা বাংলাদেশ ২২৭টা মার্ডার কেসের মামলা। তোমরা দেখে দেখে তালিকা করো। অন্তত ২২৭টা মার্ডার করার লাইসেন্স পেয়ে গেছি। এক মামলায় যে শাস্তি সেয়া দুইশো মামলায়ও সে শাস্তি। তো সে শাস্তি নিবো, তবে সে হিসাব করে নিবো। এটা যেনো মাথায় থাকে। এবার ইনশা-আল্লাহ আসতে পারলে আরো উন্নতি দেখতে পারবা।
কেকে/এজে