কুমিল্লার দেবিদ্বারে আধুনিক কৃষিযন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণের ছোঁয়া লেগেছে কৃষকদের মাঝে।
সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরি পর দুইটি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে ধানের চারা রোপণ করছে দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। বোরো ধানের নতুন জাত ব্রি ধান১০২ সম্প্রসারণ ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ কার্যক্রম করছেন তারা।
দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার রসূলপুর ও ইউছুফপুর ইউনিয়ন ব্লকে ২০২৪/২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১৫০ বিঘা এই বোরো ধানের চার রোপণ চলমান।
ব্রি ধান১০২ জাতটি জিংক সমৃদ্ধ; যাতে জিংক এর পরিমাণ ২৫.৫ মি. গ্রাম/কেজি। তাছাড়া, জাতটির অ্যামাইলোজ ২৮% ও প্রোটিনের পরিমাণ ৭.৫%। ফলে এ ধানের চাল চিকন ও সাদা হওয়ার পাশাপাশি ভাত ঝরঝরে হবে। বিঘা প্রতি প্রায় ২৫ থেকে ২৬ ফলন দিতে সক্ষম ব্রি ধান ১০২ জাতটি।
রসূলপুর ও ইউছুফপুরে ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দুইটি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন অনবরত ধানের চারা রোপন করছে জমিতে। এক বিঘা জমিতে চারা রোপন করতে গড়ে সময় লাগে ৩০-৩৫ মিনিট। রোপনের আগে জমি প্রস্তুত করে কৃষক-কৃষাণীরা। এরপর শুরু হয় চারা রোপনের কাজ।
কৃষক এমদাদুল হক বলেন, প্রতি বিঘা জমি রোপণ করতে শ্রমিক খরচ হত আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরি করে রাইসট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে রোপণ করলে বিঘা প্রতি এক হাজার টাকা খরচ হবে। তার থেকেও বড় কথা প্রয়োজনের সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে শ্রমিক মজুরি দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, মূলত দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা সমলয় চাষাবাদের ব্লক প্রদর্শনীটি বাস্তবায়ন করছি। প্রথমত, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ; বিশেষ করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের ব্যবহারকে জনপ্রিয়করণ। দ্বিতীয়ত, বোরো ধানের নতুন জাত হিসাবে ব্রি ধান ১০২ সম্প্রসারণ। তাছাড়া, রোপনের পর এ ডব্লিউ ডি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কৃষকদের অভ্যস্ত করতে কার্যক্রম চলমান থাকবে।
কেকে/এএম