টঙ্গীর তিলারগাতী এলাকায় মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ায় হাজী এম এ গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রাইভেট স্কুল এসোসিয়েশনের সহ সাধারণ সম্পাদক লুতফর রহমান লিটনের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তিলারগাতী এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি বাবা জাহাঙ্গীর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে এগিয়ে এসে হামলার স্বীকারহন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ আকাশ, স্থানীয় যুবদল নেতা মনির হোসেন, নাজিম উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন। এঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে প্রাইভেট স্কুল অ্যাসোসিয়েশন ও বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন তিলারগাতী এলাকার হাজী এম এ গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি হওয়ার সুবাধে সেখান থেকেই মাদক কারবার পরিচালনা করেন জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে বাবা জাহাঙ্গীর ও তার ছেলে জিহাদসহ পুরো পরিবার। সেই সুবাদে স্কুলের পাশে বসেই প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে মাদকসেবীরা। যার প্রভাব পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর। মাদকের উটকো গন্ধে বিঘ্নিত হয় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম। সন্ধ্যা হলে অনেক সময় স্কুলের বারান্দা এবং মাঠেও মাদক সেবীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এসব বিষয়ে বিভিন্ন সময় জাহাঙ্গীরকে নিষেধ করা হলেও কর্নপাত করেননি তিনি। একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতিবাদ করলে জাহাঙ্গীর তার ছেলে জিহাদকে নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী শান্ত, শুভ, আরিফ, সজিব, আসিফ, আপন, রহিম, বাবু, রাতুলসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে প্রধান শিক্ষক লুতফর রহমান লিটনের উপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এসময় প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন স্থানীয় ছাত্রদল ও যুব দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। পরে তাদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত শামীম ও মনিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাকিদের হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ ইসকান্দর হাবীবুর রহমান বলেন, এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
কেকে/এআর