বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ৫ বারের এমপি ও মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে থেকে প্রতিদিন একজন করে উপদেষ্টা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) ও জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখতে এসে এ কথা বলেন তিনি।
কায়কোবাদ আরো বলেন, এখানে এসে আমি বাকরুদ্ধ। কী নির্মমভাবে নির্যাতন করে তরুণ ছেলেদের পঙ্গু করে দিয়েছে জালিম স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকার। এখনো আহতরা পরিপূর্ণ চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের অবিলম্বে যথার্থ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আস্থা রেখে আরো বলেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার অনেক আন্তরিক। আমি অনুরোধ করব প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার আগে একজন করে উপদেষ্টা যেন হাসপাতালে আসেন। এতে করে আহতরা উৎসাহ, সাহস পাবে এবং হাসপাতালের ডাক্তার ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরাও যথার্থ চিকিৎসা দিতে বাধ্য থাকবে।
এ সময় তিনি পবিত্র জমজমের পানি, খেজুর ও ফল নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আহত ছাত্র-জনতাকে দেখতে যান।
পুলিশের গুলিতে দুচোখ হারানো জামাল হোসেন বলেন, আপনার কথা অনেক শুনেছি। আপনাকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। তবে আজ এমন এক সময়ে আপনাকে কাছে পেলাম যখন আমি পুলিশের গুলিতে অন্ধ।
হাসপাতালে চিকিৎসারত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক হিল্লোল বলেন, আমি দেশের ৫ জন নেতাকে আইডল মানি। তার মধ্যে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ অন্যতম। স্যার আপনি এসেছেন আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনার কাছে অনুরোধ আমাদের উপর যেন বৈষম্য না হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থী বলেন, স্যার, আপনি নিজেই তো আমাদের মতো নির্যাতিত। দীর্ঘ ১৩ বছর দেশে আসতে পারেননি। আপনাকে আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। আপনি আসাতে আমরা ধন্য। কিন্তুু আমাদের আন্দোলনে যারা আজ উপদেষ্টা। তারা তো আমাদের দেখতে আসে না। বরং ক্যাটাগরির মাধ্যমে বৈষম্য তৈরি করছে।
উল্লেখ্য যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ মুরাদনগরের ৭ পরিবারকে প্রথম পর্বে ৫০ হাজার করে এবং ২য় পর্বে ১০ হাজার এবং ৩টি পরিবারকে নতুন ঘর নির্মান করে দেন সাবেক মন্ত্রী ও ৫ বারের এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। এছাড়াও মুরাদনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা খরচ এবং ঢাকা এনে চিকিৎসা সেবা দেন তিনি।
কেকে/এএম