আমরা এখনই নির্বাচন চাচ্ছি না, ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই। সব সময় আমরা নির্বাচনের কথা বলি, কারণ অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বেশি, বলে বন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গ্রন্থ আড্ডায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিদিন দাবি নিয়ে রাস্তায় নামছে মানুষ। সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। হঠকারি কোনো কিছু করা যাবে না। অতিবিপ্লবী চিন্তাভাবনা নিয়ে অস্থিরতা তৈরি করা যাবে না।
তিনি বলেন, এতগুলো সংস্কার কমিশন হলেও শিক্ষা নিয়ে কোনো কিছুই হয়নি। অতি বিপ্লবী হয়ে সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যাবে না। এই মুহূর্তে সব বদলে দেব বা এটা করে ফেলব তা হয় না। ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হয়।
ফখরুল বলেন, যেভাবে চাই, রাষ্ট্র সেভাবে তৈরি হয়নি। সরকারের ভুলত্রুটি থাকবেই, দেশে অনেক জঞ্জাল আছে। এই অবস্থার পরিবর্তন এত দ্রুত হবে না। তবে যে সুযোগ পেয়েছি, তাতে আশা করি ভালো কিছু হবে। সংস্কারের যে প্রস্তাব এসেছে, এতে ভালো কিছু হবে। গণতান্ত্রিক কাঠামোতে গেলে সামনে এগিয়ে যেতে পারবো।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কারের প্রস্তাবগুলো আসা শুরু হয়েছে। আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্বাচিত সরকার ম্যান্ডেট নিয়ে বসবে। জনগণের ভাষাটা বুঝতে হবে সরকারকে। এখনই নির্বাচন চাচ্ছি না, ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই। আমরা সব সময় নির্বাচনের কথা বলি, কারণ অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বেশি।
জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. জহির দিপ্তী।
অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুরে এলাহী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন প্রমুখ গ্রন্থ আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এআর