শেরপুরের নালিতাবাড়ী-নকলা মহাসড়ক দখল করে উপজেলার প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা কাউকে তোয়াক্কা না করে মহাসড়কের পাশেই গড়ে তুলেছে বালুর ব্যবসা।
মহাসড়কের পাশেই বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনেই বালুর স্তুপ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য, পরিবেশের পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নকলা-নালিতাবাড়ী মহাসড়কটি দিয়ে ময়মনসিংহ ও ঢাকামুখী যানবাহন চলাচল করে। ব্যস্ততম এই সড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু বর্তমানে মহসড়কের পাশে দখল করে বালু ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছে।
উপজেলার কাপাসিয়া থেকে শুরু তালতলা বাজার পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মহাসড়কের জায়গা দখল করে বালুর স্তুপ করেছেন এবং মহাসড়কে ট্রাক দাড় করিয়ে বালু লোড করছেন।
জানা যায়, ভোগাই নদীর ইজারা বর্হিভূত জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করার পর সেই বালুগুলো ট্রাকে করে মহাসড়কের পাশে এনে রেখে তা দরদাম হাকিয়ে বিক্রি করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাল্লাকান্দা তালতলা বাজারসহ অনেক জায়গায় সড়কের পাশে বালুর বিশাল স্তুপ। মহাসড়কের ওপর দাঁড় করিয়ে ট্রাকে বালু লোড করা হচ্ছে। স্তুপ থেকে প্রতিনিয়ত ধুলোবালি উড়ে। ধুলোবালির কারণে যাতায়াতকারীরা পড়েছে বিপাকে।
স্থানীয়রা বলেন, বালির স্তুপ থেকে ধুলিকনা ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে ধুলি জনিত রোগ বাড়ছে। অতিরিক্ত ধুলিবালি ছড়িয়ে পড়ার কারণে সিলিকোসিস রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন যাতায়াতকারীরা। মহাসড়কে ট্রাক দাঁড় করিয়ে বালু লোড দেয়ার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় রুবেল মিয়া জানান, মহাসড়কের পাশেই বালুর ব্যবসা হওয়ার কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা চলাচল করতে পারি না। প্রশাসনের কেউ আসেনা দেখতে। যে যার মতো সড়ক দখল করে ব্যবসা করছে।
এ বিষয়ে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, রাস্তায় বালু রাখার কারণে বাইক চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। যখন একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে ওভারটেক করে তখন আমাদের বালুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে হয়। এতে মোটরসাইকেল চালকদের বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, এটি সম্পূর্ণ অবৈধ, এতে করে অনেক রাস্তায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেকে/এএম