অনেকটা অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতায় নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে রিকশাচালকরা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ, রাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, টানাহেঁচড়া, মুখের ওপর টাকা ছুড়ে মারা এবং নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের মতে, রিকশাচালকদের কোনো আইডি কার্ড বা নির্দিষ্ট পোশাক নেই। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া নির্ধারণ না করা এবং হয়রানির পর দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ সমস্যাগুলো বাড়ছে।
ভেটেরিনারি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাশেদ। মধ্যরাতে বাড়ি থেকে হলে ফিরছিলেন। ক্যাম্পাস নিরিবিলি থাকায় রিকশাচালক হলের নিকটবর্তী স্থানে নামিয়ে দেয়। এরপর স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দাবি করে। অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে টানাহেঁচড়া করে এবং ব্যাগ কেড়ে নেয়। মারধরের শিকার হয়ে অবশেষে অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য হয়। শুধু যে ছেলে শিক্ষার্থীরা এমন ঘটনার শিকার হচ্ছে এই রকম নয়। নারী শিক্ষার্থীরাও এমন ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী তাসনিম আদিবা জানান, ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা ও শুক্রবারের দিকে রিকশাচালকদের অশোভন আচরণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ভাড়া না দিলে তারা পথ আটকে দেয়। রাতে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। তর্কবিতর্ক ও টাকা ছুড়ে ফেলার ঘটনা এখন নিত্যদিনের ব্যাপার।
অভিযোগের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম জানান, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা নির্দিষ্ট মানের ভাড়ার নির্ধারণ করে দেবো। ওই ভাড়ায় রিকশাচালকদের রুটি-রুজিগারের কোনো সমস্যা হবে না। এই মুহূর্তে সব রিকশা বা অটো চালকদের আইডি কার্ড দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ আমাদের ক্যাম্পাস উন্মুক্ত হওয়ায় বাহিরের চালকরা এক-দুজন যাত্রী নিয়ে এখানে চলে আসেন। তবে তাদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক চালু করার কথা ভাবছি, যাতে তাদের সহজই শনাক্ত করা যায়। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ও সাচ্ছন্দ্যে থাকুক। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি।
কেকে/এএম