ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সড়কগুলোতে চলাচলরত সিএনজি চালিত অটোরিকশা যাত্রীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বছরের পর বছর ধরে চলা এই অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
জেলা সদরের সঙ্গে নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সংযোগ স্থাপনকারী অন্যতম সড়ক হলো ‘রাধিকা সড়ক’। প্রায় সাড়ে চারশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক দিয়ে বর্তমানে সড়কপথে আধা ঘণ্টায় যাতায়াত করা সম্ভব।
কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, নবীনগর থেকে রাধিকা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটারের জন্য সিএনজিতে জনপ্রতি ১২০ টাকা এবং রাধিকা থেকে জেলা সদর পর্যন্ত আরো ৬ কিলোমিটার পথের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে নবীনগর থেকে বাঞ্ছারামপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার পথের জন্য সিএনজিতে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। ভুক্তভোগী যাত্রী আবুল হোসেন, চন্দন দাস ও লাকী বেগম জানান, কোনো সঠিক নিয়ম ছাড়াই চালকেরা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেই এ অনিয়ম চলছে।
সিএনজি চালকরা বলছেন, যাত্রী সংকট ও খালি গাড়ি নিয়ে ফেরার বাধ্যবাধকতার কারণে তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিতে বাধ্য হচ্ছেন। চালক আলীম মিয়া বলেন, জেলা সদর বা ফেরিঘাট থেকে ফিরে আসার পথে যাত্রী না পাওয়ায় আমরা ক্ষতিপূরণ হিসেবেই বেশি ভাড়া নেই।
নবীনগরের ইউএনও রাজীব চৌধুরী জানান, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভাড়া কমানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। গণশুনানী ও সভার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
বাঞ্ছারামপুরের ইউএনও ফেরদৌস আরা বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি দীর্ঘদিনের সমস্যা। আমরা দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, আমি নিজে রাধিকা সড়ক পরিদর্শন করেছি। ভাড়া কমানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হবে।
কেকে/এএম