সকাল ১১টার আগে খোলা হয় না রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তালা। সেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হয় সেবা প্রত্যাশীদের। এছাড়াও ৪-৫ মাস ঘুরেও মিলছে না জমির মিউটেশন। কতগুলো মিউটেশনের আবেদন জমা হয়েছে তাও জানেন না উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সরেজমিনে গেলে, কয়েকজন সেবা প্রত্যাশীর সাথে কথা হয় । এ সময় তারা জানান, সকাল ৯টার দিকে এসে অফিস বন্ধ পেয়েছে। অফিস খোলা হয়েছে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে।
স্থানীয়রা জানান, দুই-তিন সপ্তাহ ধরে সকাল ১১টার আগে অফিস খোলা হয় না। সেবা নিতে এসে অনেকেই ২-৩ ঘন্টা অফিসের বাহিরে বসে থাকে। অনেকেই বসে অনেক সময় অপেক্ষার পর বিরক্ত হয়ে চলে যায়।
এ সময় ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামের ইনতাজ নামের এক সেবা প্রত্যাশী জানান, ৩-৪ মাস আগে ভূমি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা আব্দুল মজিদের কাছে তার ২১ শতাংশ জমির মিউটেশনের জন্য ২ হাজার টাকা দিয়েছেন। এখনো তার মিউটেশন হয়নি। দুই মাসের বেশি সময় ধরে মিউটেশনের কাগজ নেওয়ার জন্য তাকে ভুমি অফিসে ঘরতে হচ্ছে।
মৌরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, পাংশা অফিসে মিটিং ছিল এবং আমাদের অডিট চলার কারণে অফিস খোলা একটু লেট হচ্ছে। কতগুলো মিউটেশনের আবেদন জমা রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন মিউটেশনের কাগজ নেইনি। এসিল্যান্ড অফিসে খোজ নিয়ে জানেন, আমি বলতে পারব না।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং সত্যতা পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এএম