স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার পতনের পর বাড়ি থেকে পালিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের কবি নজরুল হলে খুঁটি গেড়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ছাত্রলীগ নেতাকে হলেই দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাতে তার এসব তথ্য সামনে আসে।
হলে খুঁটি গাড়া ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মাসুম মাহমুদ। তিনি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর এলাকা থেকে পালান এই ছাত্রলীগ নেতা। পরে উঠেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের কবি নজরুল ইসলাম হলে। এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একজন লিখেন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মাহমুদ ফাহাদের ভাই মৈশাতুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম মাহমুদকে এলাকা হতে বিতাড়িত হওয়ার পর কবি নজরুল ইসলাম হলে উঠেছে। তার সম্পর্কে এলাকায় সন্ত্রাস এবং মার্ডারের মতো অভিযোগ দেখা যায়। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দ্রুত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হল প্রভোস্ট ও কলেজ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান করেন। সেই সাথে একটি ছবিও পোস্ট করেন ওই ব্যক্তি। সেখানে ২০২৩ সালের একটি প্রোগ্রামের ব্যানারে দেখা যায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার আহমেদ অনিকের মৃত্যুতে মিলাদ মাহফিলে মৈশাতুয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। ব্যানারে সম্মুখ সারিতে তাকে দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মাসুম ফাহাদ এলাকায় তার ভাইয়ের সহযোগিতায় এলাকায় চাঁদাবাজি, মারামারি, আধিপত্য বিস্তারসহ নানান অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে উপজেলায় সাধারণ মানুষের বাড়ি দখল করার মতো অভিযোগ আছে। সর্বশেষ জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে বের হলে তাদের হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার মতো হুমকি দিত।
হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা মাসুম মাহমুদ হলের ভর্তি পরীক্ষা দেয়া ছাড়াই হলে ভর্তি হয়। বর্তমানে তিনি হলের ২য় তালায় ২৪৬/৪৮ নং রুমে থাকছেন। তিনি অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
কবি নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা ছাত্রলীগের ৩০ জনকে হল থেকে বহিষ্কার করেছি। যদি ছাত্রলীগের কেউ থেকে থাকে তাহলে অভিযোগ পাওয়া মাত্র তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেকে/এজে