বগুড়ার শেরপুরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নিজের বাড়িতে যেতে পারছেন না প্রাবাসী জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায় নিজের নামে জায়গা কিনে বাড়ি নির্মাণ করেছে এবং প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
মঙ্গলবার(২১ জানুয়ারি) রাতে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
জানা যায়, শেরপুর পৌর শহরের বারোদুয়াড়ী এলাকার শরীয়তুল্যা মিয়ার ছেলে জাহিদুল ইসলামের সাথে ধুনট উপজেলার কান্তনগর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে নুরজাহানের বিগত ২০১০ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২০১৩ সালে জাহিদুল ইসলাম বাড়তি ইনকামের জন্য বিদেশে যায়। বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায় তার স্ত্রী শেরপুর ফরেস্ট এলাকায় তার নিজের নামে ৪ শতক জমি ক্রয় করে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে। প্রায় ৭ বছর পর বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে জাহিদুল দেখে তার নামে এখানে কিছুই নেই। এমতাবস্থায় রনবীরবালা ঘাটপার এলাকায় ৩ শতক জায়গা কিনে টিনসেডের বাড়ি করে সে। তার কিছুদিন পর তার স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় ২০২২ সালে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নুরজাহান কে তালাক দেয় এবং কোর্টের শর্ত মোতাবেক সমুদ্বয় অর্থ পরিশোধ করে।
এরপর থেকে জাহিদুল ওই বাড়িতে গেলে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে এসে তাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে ওই জমি সে তার এক আত্মীয়র কাছে বিক্রি করে দেয়। এমতাবস্থায় গত বছরের ৫ ডিসেম্বর সকালে জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে নুরজাহান সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গিয়ে তাদের বাধা প্রদান করে এবং নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার রাতে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কেকে/এআর