মানিকগঞ্জের সিংগাইরে খালের সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কয়েকদিন আগে জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন বাঁধা দিয়ে খাস জমিতে ভবন নির্মাণ বন্ধ করে দেন।
তবে প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে আবার ওই জমিতে ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত চান্দহর ইউনিয়নের বাঘুলী গ্রামের মদন মোল্লার ছেলে প্রবাসী মান্নান মোল্লা। খালের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণে স্থানীয় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চান্দহর ইউনিয়নের চান্দহর-সিরাজপুর সড়কের বাঘুলি গ্রামে একটি সরকারি খাল। সেই খালের উপর একটি সেতুর গাইড ওয়ালসহ খালের জমি দখল করে প্রবাসী মান্নান মিয়া বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। সেটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে চান্দহর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম পরিদর্শন করে বাঁধা দেন। পরবর্তীতে তার বাঁধা উপেক্ষা করেই ভবনের নির্মাণ কাজ এখনো চলছে।
কামরুল ইসলাম জানান, আমি কাজ বন্ধ করে দিয়েছি এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি নজর রাখতে বলেছি। তারপরও কাজ করলে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।
স্থানীয় মো. আব্বাস খান বলেন, এটি সরকারি খাল। এক সময় প্রবাহমান ছিল। কৃষি জমির পানি এই খাল দিয়ে বেরিয়ে নদীতে যেত। তবে দখল ও দূষণে খালটি আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। দখলকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। খালটি যেন দখল না হয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।
অবৈধভাবে খাস জমি দখলের বিষয়ে কথা বলতে মান্নান মিয়ার বাড়িতে গেলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মান্নানের ছেলে জানান, এলাকার অনেকেই খালের মধ্যে বাড়ি নির্মাণ করেছে। সবাই দখল করছে তাই আমরাও করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল ইসলাম সোহাগ বলেন, বিষয়টি আমরা জানার পর কাজ বন্ধ করেছি। তারপরও যদি কাজ করে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) কে জানিয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কেকে/এএম