জামায়াত-শিবিরকে বস্তায় ভরে পাকিস্তানে পাঠানোর ঘোষণা দেওয়া সেই আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক সরদারকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এসময় একই মামলায় তার শ্যালককেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মারুফ হাসান জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জহুরুল হক সরদার গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। অপর আসামি তার শ্যালক ও সুন্দরগঞ্জ পৌর যুবলীগের সভাপতি মারুফ হোসেন বাদল।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জাহিদ হোসেন খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলাম হত্যার অন্যতম আসামি জহুরুল হক সরদার ও তার শ্যালক মারুফ হোসেন বাদল হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে আসেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আজ গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হাসানের আদালতে জামিনের জন্য সেরেন্ডার করেন। তবে বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক সরদার এক নির্বাচনী জনসভায় জামায়াত-শিবিরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেছিলেন, 'জামায়াত-শিবির শালারা খুব বাড় বেড়েছে। প্রত্যেক জামায়াত-শিবিরকে বস্তায় ভরে পাকিস্তানে পাঠানো হবে।'
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ১০ বছর পর নিহতের ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির বাদী হয়ে গত ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে প্রধান আসামি করে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
কেকে/এআর