বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সময়ক্ষেপণ হলে অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। কে নির্বাচিত হলো তা নিয়ে সমস্যা নেই।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক শহিদ আসাদের ৫৬তম মৃত্যুবাষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় শহিদ আসাদের স্মৃতিচারণ করে ফখরুল বলেন, কেউ স্মরণ বা না করুক, শহিদ আসাদ ইতিহাসে আছেন, ইতিহাসে থাকবেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের পথে যাওয়া। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। জোর করে নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে বিতর্কিত করলে জনগণ আবার অধিকার বঞ্চিত হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নানা রকম প্রত্যাশা আছে মানুষের। কিন্তু সেরকম কোনো ইঙ্গিত এই সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই নির্বাচন নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলের সবাই নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে একমত। সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের কথা বলছে, তাহলে কি আমরা ৪-৫ বছর অপেক্ষা করব? তাহলে তো জনগণ ভোট থেকে বঞ্চিত হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পূর্ণ নিরপেক্ষতা জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকলে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন বলে আশা করি।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। এখন পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে কি না।
তিনি বলেন, সচিবালয় থেকে শুরু করে বিভিন্নস্থানে পতিত সরকারের দোসররা বসে আছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৫ বছর লড়াই করে যারা ফ্যাসিস্টদের পতন ঘটিয়েছেন, যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের স্বপ্ন যেন পূরণ হয়।
কেকে/এআর