অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ সম্মেলন ও সফর থেকে ভালো কিছু রেজাল্ট পাবো এবং বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশে ইনভেস্ট করতে চায় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, দাভোসে প্রচুর প্রাইভেট সেক্টরের এমডি, সিইও’রা আসেন। তাদের সঙ্গে অনেক সরকার প্রধানদের আলাপ-আলোচনা হয়। এমডিদের দাভোসের ছোট ছোট রুমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হয়। এক ধরনের ডিল মেট হয়। এই দুই দিনে প্রচুর হেড অব গভর্মেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার, প্রায় ১০টার মতো হেড অব গভর্মেন্টের কথা বার্তা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশে ইনভেস্ট করতে চায়। তাদের সিইও’রা প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে দেখা করবেন। তারা বাংলাদেশ সর্ম্পকে জানতে চাইবেন, বাংলাদেশের বিজনেস অপরচুনিটি কী আছে সেটি নিয়ে জানতে চাইবেন। আমাদের তরফ থেকে বার বার বলছি যে, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। বিজনেসের সেই ক্লাইমেট তৈরি হয়েছে। বিজনেস করার জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে, সেগুলো যতটা সহজ করা যায় সেটা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম পোর্টের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র, জার্মান, তুরস্ক, চায়নার ইনভেস্টরকে বাংলাদেশে ইনভাইট করছেন। তাদের বাংলাদেশে ইনভেস্ট করার জন্য বলছেন। বাংলাদশে এখন তাদের জন্য প্রস্তুত। বাংলাদেশের যুবকদের দিয়ে তারা সহজেই বাংলাদেশকে এক্সপোর্ট হাব করা যেতে পারেন। আশা করছি, এটা থেকে ভালো কিছু রেজাল্ট পাবো।
এদিকে এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান ও বিশেষ কার্যাদির ফেডারেল মন্ত্রী উলফগ্যাং শ্মিট, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটংটার্ন সিনাওয়াত্রা, সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল পররাষ্ট্র বিভাগের ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিস, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই সংস্কৃতি ও শিল্প কর্তৃপক্ষের চেয়ারপারসন শেখ লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রাক্তন মার্কিন বিশেষ দূত জন কেরি এবং প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কেকে/এজে