জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের থিসিস গ্রহণে শিক্ষার্থী সংখ্যা নির্ধারণে সর্বোচ্চ শতাংশের শর্ত তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহষ্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম কতৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়।
থিসিস বণ্টন নীতিমালা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যামূলক ওই বিবৃতিতে হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘জবিতে থিসিস বণ্টনে শর্ত আরোপ’ শিরোনামের সংবাদ প্রসঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসন স্পষ্ট করতে চায় যে, উক্ত সংবাদে বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে থিসিস গ্রহণকে আরো সহজ এবং শিক্ষার্থীবান্ধব করার জন্য পূর্বের নীতিমালায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, পূর্বে একজন সুপারভাইজার সর্বোচ্চ দুইজন শিক্ষার্থী সুপারভাইজ করতে পারতেন; এটি বাড়িয়ে এখন তিনজন করা হয়েছে। থিসিস গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ যোগ্যতার মানদণ্ড ৩.০ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো শিক্ষক যদি তার শিক্ষাজীবনে মাস্টার্স পর্যায়ে থিসিস সম্পন্ন করে থাকেন, তবে তিনিও থিসিসের সুপারভাইজার হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শতাংশের শর্ত তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা খুব শিগগিরই কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে থিসিস বণ্টনের জন্য একটি আধুনিক, সুষ্পষ্ট এবং শিক্ষার্থীবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সুপারিশমালা তৈরি করবে, যা পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা এবং অনুমোদনের মাধ্যমে চূড়ান্ত নীতিমালা হিসেবে গৃহীত হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমে জবিতে থিসিস বন্টনে শর্তারোপ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই আজ এ ব্যাখামূলক বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কেকে/এএম