ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বাজার এলাকায় একটি
ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেড় লক্ষ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন
ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় একটি অনুমোদনবিহীন, অস্বাস্থ্যকর ও ভেজাল দ্রব্য
দিয়ে খাদ্য পণ্য তৈরির কারণে একটি বেকারীকে আরো দেড় লক্ষ টাকা এবং বিএসটিআই
কর্তৃপক্ষ ভোক্তা অধিকার আইন ২০১৮ অনুযায়ী আরো ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড
করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার কুমিল্লা অঞ্চলের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম এবং স্থানীয় থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
অভিযানের সময় দেখা যায়, উজানচর এলাকার খোকন মিয়ার পরিচালিত কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় উৎপাদন করা হচ্ছিল। এ কারখানায় ফিটকিরি, কাপড়ের রং, হাইড্রোজ, কোরিয়ান আঠা, ঘন চিনি ও বিভিন্ন ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে আখের গুড় প্রস্তুত করা হতো।
গুড় কারখানার মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানের সময় শফিকুল ইসলাম নামে সাইনবোর্ডবিহীন একটি বেকারিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ভেজাল উপাদান ব্যবহার করে খাদ্য পণ্য তৈরি করার জন্য দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া, বিমল চন্দ্র ও বিপ্লব নামের দুটি নিমকির কারখানায় পুরোনো ও পোড়া তেল ব্যবহারের দায়ে প্রতিটিকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানের বিষয়ে এসিল্যান্ড মো. নজরুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সরেজমিনে ভেজালের সত্যতা পাওয়া যায়। কারখানাগুলোর মালিকদের জরিমানার পাশাপাশি পরিবেশ সঠিক না করা এবং প্রয়োজনীয় লাইসেন্স না নেওয়া পর্যন্ত কারখানাগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি একটি সংবাদ মাধ্যমে বাঞ্ছারামপুরে ভেজাল গুড় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই প্রশাসন এ অভিযান চালিয়েছে।