ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মাসব্যাপি চলা ২৯তম আসরের শেষ সপ্তাহে ছাড়ের ছড়াছড়ি চলছে। সরকারী ছুটির দিন শুক্রবার সকাল থেকেই বেড়ে যায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপস্থিতি। এবার মেলায় আগ্রহ দেখা গেছে ইউরোপীয় স্টাইলে কে ওয়াই টো টোনের আস্ত বাড়ি আর কয়েদীদের তৈরী কারাপন্যের প্যাভিলিয়নে। যদিও বরাবরের মতো রয়েছে পন্যের দাম ও মান নিয়ে অভিযোগ।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, পূর্বাচলের স্থায়ী প্যাভিলিয়নের ৪র্থ আসরের শেষ সপ্তাহে উপছে পড়া ভীর। স্টলে স্টলে স্ব স্ব পন্যে ছাড় দেয়ার ঘোষণায় বেচাকেনা বিগত সময়ের চেয়ে বেড়েছে। কথা হয় মেলায় এ হলে অবস্থান করা মিনিস্টার ইলেকট্রনিক এর প্যাভিলিয়নের বিক্রয়প্রতিনিধিদের সাথে। তারা জানান, তাদের পন্যে ৩০ % ছাড়সহ লাখপতি এমনকি কোটিপতি অফার ঘোষণা বেশ সাড়া ফেলেছে। কোম্পানির ম্যানেজার হাবিবউল্লাহ বলেন, মেলায় প্রদর্শনীকে প্রাধান্য দেয়া হলেও বিক্রি বেড়েছে আগের তুলনায় বেশি। এ বছর লাখ পতি আবার কোটিপতি অফার লুফে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। ফলে ভালো সারা পেয়েছি। মিনিস্টার কোম্পানির অধীনে ইলেকট্রনিকস পন্য ছাড়াও গৃহস্থালি পন্যের বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে।
এদিকে মাত্র ১৪ লাখে ৩ মাসে ইউরোপীয়ান আস্ত বাড়ি নিয়ে এসেছেন কেওয়াই টো টোন। বাড়িটি দেখতে দর্শনার্থীদের ভীর থাকলেও বুকিং নেই তেমন। পাশাপাশি জেলখানায় কয়েদীদের তৈরী পন্য ক্রয়ে আগ্রহ দেখা গেছে ক্রেতাদের। বাড়ির বিক্রয়কর্মী আফরিন বলেন, গতবছর এ বাড়িটিকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর আমাদের কোম্পানিতে সরাসরি বুকিং ভালো হয়েছে। তবে মেলা থেকে বুকিং কম থাকলেও উৎসুক লোকজন ছবি তুলছেন। ঘুরে দেখছেন তাতে তৃপ্ত হয়েছি।
এছাড়াও শীত কমে যাওয়ায় ক্রেতার ভাটা পড়েছে শীতের পোষাক আর ব্লেজারের দোকানে। তারা ছাড় দিয়েও ক্রেতা পাচ্ছেননা বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন। ব্লেজার বিক্রেতা নোমান বলেন, মেলায় এসে পুরোপুরি হতাশ হলাম। ৫০% ছাড় দিয়েও ক্রেতা পাচ্ছি না। এটা খুবই দুঃখজনক। হয়তো শীত কমে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে।
মেলায় কারাপন্যের প্রদর্শনী আর বিক্রয় উভয় সমানতালে। কথা হয় নারায়ণগঞ্জ ডেপুটি জেলার নাসির উদ্দীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, কয়েদীরা তাদের তৈরী পন্যের ৫০ ভাগ লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন। আর বৃহত্তর প্রদর্শনী হিসেবে বাণিজ্য মেলার অপেক্ষায় থাকি আমরা। এখান থেকে এ পন্যগুলোর প্রচার,বিক্রি হয়ে থাকে।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, ছাড় চলছে প্রায় সব পন্যে। তবে দাম ও মান নিয়ে বরাবরের মতো অভিযোগ আর কিছু ত্রুটি সংশোধন হলে মেলার আয়োজন স্বার্থক হবে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কেকে/এআর