কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় পাচারকালে মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি বিনামূল্যে বিতরণের প্রায় ৯ হাজার পাঠ্যবই শেরপুরে আটকের ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহসীন হাসান বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার মাহিদুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিন এবং শেরপুর সদর উপজেলার নাজিরাগারা গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে ট্রাকচালক সজল মিয়া। এর মধ্যে জামাল উদ্দিন রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী ও মাহিদুল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। আর সজল মিয়া বই পরিবহনকারী ট্রাকের চালক।
আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম মামলা ও গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে সরকারি বই পাচার, অর্থ আত্মসাৎসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা বই পাচারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। দুপুরে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জব্দ করা বইগুলো আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকৃত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পুলিশ মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে বলে তিনি জানান।
এর আগে গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে একটি চক্র সরকারি বই বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করছে, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে শেরপুর সদর থানার পুলিশ সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের ধাতিয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে একটি বাড়িতে রাখা ট্রাকবোঝাই প্রায় ৯ হাজার মাধ্যমিকের বইসহ পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করে এবং পরে সেটি সদর থানায় নিয়ে আসে। ট্রাকটিতে ২০২৫ সালের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের প্রায় ৯ হাজার বই ছিল। এসব বই কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিল।
কেকে/এআর