বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই দেশকে আমরা সবাই ভালোবাসি। কিন্তু একটি দল ক্ষমতায় এসে মনে করেছিল তারাই শুধু স্বাধীন সার্বভৌম এই বাংলাদেশকে ভালোবাসে আর কেউ না। বাংলাদেশকে কারা ভালোবাসে সেটা বিগত সরকারের পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ৭০ সালে নিজেই বলেছেন মানুষ পেয়েছে সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মীরবাগ ডিগ্রী কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাউনিয়া উপজেলা শাখা আয়োজিত পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের মানুষ তাদের ঘামে অর্জিত ফসল ফলায় আর তারা সেগুলো চুরি করে বিদেশে পাচার করে। এদেশে যতদিন না আল্লাহ্ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় ততদিন শান্তি আসবে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা প্রত্যেকের দ্বারে গিয়ে কোরআনের দাওয়াত দিবেন। জুলাই অভ্যুত্থানে প্রথম শহিদ আবু সাঈদকে স্মরণ করে তিনি বলেন, রংপুরের ধর্মপ্রাণ মানুষ খুব সাহসী। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শহিদ আবু সাঈদ পুলিশের সামনে বুক উচু করে ধরেছিলেন। পুলিশ পরপর কয়েকটি গুলি ছুড়ে তার বুকে।
তিনি আরও বলেন, গত দেড়যুগের শাসনামলে আওয়ামী সরকার টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত সর্বত্র গুম খুন আর সীমাহীন দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা আলেম ওলামাদের টার্গেট করে বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ফাঁসির কাস্টে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। এখন সময় এসেছে প্রতিটি হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাউনিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মো. আব্দুস সালাম সরকারের সভাপতিত্বে পথ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কার্যপরিষদ সহকারী ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর জেলা মহানগর আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা এটিএম আজম খান, রংপুর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।
পথ সভায় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ছাত্র শিবির রংপুর জেলা সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ, ছাত্র শিবিরের কাউনিয়া উপজেলার সাবেক সভাপতি বাবর আলী, পীরগাছা উপজেলা জামায়াতের আমীর বজলুর রশিদ মুকুল, রংপুর জেলা শাখার মিডিয়া সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গণি, জেলা মানব সম্পদ বিষয়ক সেক্রেটারি মোত্তালেব হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের আবুল হাসান বাদল প্রমূখ।
কেকে/এইচএস