ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি ) আন্ডারগ্রেজুয়েট প্রথম বর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলছে । পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবা দিতে তৎপর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলো।
শনিবার(২৫ জানুয়ারি) কলা,আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে সকাল থেকেই নানান সেবা নিয়ে তৎপর দেখা যায় ছাত্র সংগঠনগুলোকে।
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ খেলাফাতে মজলিশ, ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী দলীয় ব্যানারে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে হেল্প ডেস্ক বসিয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা সংগঠনগুলোও হেল্প ডেস্ক বসিয়ে নানাভাবে পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদানের চেষ্টা করছে।
শিক্ষার্থীদের সিট খুঁজে দেওয়া, ফাইল,পানি ও কলম উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকদের বসারও ব্যবস্থা করে দিচ্ছে সংগঠনগুলো।
সংগঠনগুলোর নেতারা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য এটি আমাদের ক্ষুদ্র আয়োজন। বিগত বছরগুলোতে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের কারণে আমরা ইচ্ছা থাকা স্বত্তেও শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে পারিনি। আমাদের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা প্রদানের এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখব।
ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আশিক বলেন, অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে হয়রানির শিকার হয়। আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে হেল্প ডেস্ক বসিয়েছি। এতে পরীক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা কিছুটা স্বস্তি পাবে। ছাত্রশিবির আগামীতে আরো বড় পরিসরে আয়োজন করবে বলেও জানান তিনি।
ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগের সময়ে নানা অত্যাচার সহ্য করেও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রঅধিকার পরিষদ।আমরা সেই ধারা অব্যাহত রেখেছি যাতে আমাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একটু হলেও উপকৃত হয়।
বিভিন্ন জেলা-উপজেলা এবং হলের ব্যানারেও অনেক স্বেচ্চাসেবী শিক্ষার্থীদের দেখা যায়। সূর্য সেন হলের শিক্ষার্থী মোস্তফা আহমদ বলেন, দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা আমাদের অতিথি। আমিরা চাইনাও তারা কোনো জটিলতার মুখোমুখি হোক। কঠোর পরিশ্রম শেষে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছে। আমরা পাশে দাঁড়ালে তারা মানসিকভাবেও একটু সাহস পাবে।
কেকে/ এমএস